এবার মিড ডে মিলে মুরগির মাংস মিলবে এ রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে ! রাজ্য সরকার বাড়তি বরাদ্দ করলো প্রতি পড়ুয়া পিছু

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে চমক মিড ডে মিলে। জানুয়ারি থেকে মিড ডে মিলে দেওয়া হবে মুরগির মাংস। অর্থাৎ ভাত-ডাল-তরকারির সঙ্গে দেওয়া হবে মুরগির মাংস। এছাড়াও ফলও দেওয়া হবে। রাজ্য সরকারের নতুন নির্দেশিকায় এমনটাই জানানো হয়েছে। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তই বড় সিদ্ধান্ত বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

২০২৩-এর জানুয়ারি থেকে এপ্রিলে মিড ডে মিলে নতুন মেনু দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে মুরগির মাংস। যা নিয়ে জোর কদমে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।

ছাত্র পিছু বাড়তি বরাদ্দ :
শুধু মুরগির মাংসই নয়, মিড ডে দেওয়া হবে ফলও। যে কারেও রাজ্য সরকারের তরফে মিড ডে মিলে বাড়তি বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মুরগির মাংস ও ফলের জন্য ৩৭২ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা জানানো হয়েছে। এব্যাপারে প্রতি সপ্তাহে ছাত্র পিছু অতিরিক্ত ২০ টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছে সরকারের তরফে। বিষয়টি জানিয়ে প্রত্যেক জেলার জেলাশাসককে চিঠি দিয়েছে নবান্ন। সাধারণভাবে সপ্তাহের কোন দিন ছাত্রছাত্রীদের কী খাওয়ানো হবে, তা ঠিক করে দেয় জেলা প্রশাসন।

বর্তমানে ছাত্র পিছু বরাদ্দ :
প্রাথমিক স্তরের পড়ুয়া অর্থাৎ প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মিড ডে মিলে বরাদ্দ ৫.৪৫ টাকা। আর ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বরাদ্দ ৮.১৭ টাকা। তবে ডিম দিতে অতিরিক্ত সাত টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে আগেই। সোমবার নতুন বছরের শুরু থেকে সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে পঠনপাঠনের সঙ্গে মিড ডে মিলও চালু হয়ে গিয়েছে। সোমবার বুধবার কোনও কোনও জেলার মিড ডে মিলের মেনুতে ছিল ভাত-ডাল-ডিম আলুর তরকারি কিংবা ভাত-ডাল-সয়াবিনের তরকারি কিংবা খিচুড়ি-তরকারি-ডিম।

আগেই শীতকালীন সবজি ও ডিম দেওয়ার সিদ্ধান্ত :
এর আগেই অবশ্য পড়ুয়াদের শীতকালীন সবজি ও ডিম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। বলা হয়েছিল ২০২৩-এর মার্চ পর্যন্ত সপ্তাহে তিন দিন সোমবার-বুধবার-শুক্রবার পড়ুয়াদের পাতে ডিম দেওয়া হবে। এছাড়াও শীতকালীন আনাজের দাম নাগালে থাকায় তাও দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কেননা গ্রামীন এলাকায় ফুলকপি, বাঁধাকপি, সিম, মূলো, পালংশাক এবং গাদরের মূল্য অনেকটাই কম। শিক্ষক ও স্থানীয়দের সহায়তায় কোনও কোনও জায়গায় মুরগির মাংসও দেওয়া শুরু করা হয়েছিল। এছাড়া যদি কোনও সপ্তাহে টাকা সাশ্রয় করা যায়, তা থেকেও মুরগির মাংস খাওয়ানোর ব্যাপারে ভাবনা-চিন্তা করেছিল বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *