কলকাতা তথা এ রাজ্যে ‘ সবচেয়ে বেশি রক্ত ঝরছে শুধুমাত্র অফিস আওয়ার্সে’ই ! অবশেষে সামনে এলো রাজ্য পরিবহণ দফতরের ভয়ঙ্কর এক সমীক্ষা

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : পথ দুর্ঘটনা এড়াতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। তৈরি করা হয়েছে রোড সেফটি পলিসিও। তবুও রাজপথ থেকে শুরু করে জাতীয় সড়ক, নিত্য দুর্ঘটনা ও তাতে মৃত্যুর খবর উঠে আসে সংবাদমাধ্যমে। কিছু কিছু এমন দুর্ঘটনা ঘটে, যে গুলো এতটাই মর্মান্তিক নাড়িয়ে দেয় গোটা রাজ্যকে। এত দুর্ঘটনা বাড়ায় পথ নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রশাসনও। সম্প্রতি এই বিষয়টি নিয়ে একটি সমীক্ষাও হয়েছে। রাজ্য পরিবহণ দফতরের একটি তথ্য বলছে, দেখা গিয়েছে গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে রাজ্যে মোট দুর্ঘটনার ৩০ শতাংশই ঘটেছে সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে। নিত্যযাত্রীদের কথায়, যাকে বলে ‘অফিস আওয়ার্স’। তথ্য এমনটাও বলছে, ২০ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটে বিকাল ৩টে থেকে সন্ধে ৬টার মধ্যে। সকালের দিকে দুর্ঘটনার হার সবচাইতে কম।

কিন্তু কেন সন্ধ্যার সময়েই দুর্ঘটনা বেশি? বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, যে সময়ে দুর্ঘটনার সংখ্যা বেশি, অর্থাৎ সন্ধ্যাুর থেকে, সেই সময়টা সাধারণ মানুষ কাজ সেরে বাড়ি ফেরেন। সারাদিনের ক্লান্তি থাকে শরীরে। মাথায় ঘুরতে থাকে নানান চিন্তা। সঙ্গে রাস্তায় গাড়ির চাপ। সকলেই চান, কীভাবে কত তাড়াতাড়ি বাড়িতে যাওয়া যায়, পরিবারের মানুষের সঙ্গে দেখা করা যায়! কিন্তু সেটা করতে গিয়েই গতি বাড়াচ্ছেন চালকরা, আর তাতেই দুর্ঘটনা।

বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, স্ট্রেস থেকেই অমনোযোগী হয়ে যান চালকরা। ঠিক তার উল্টোটাই সকালে। সেসময়ে সকলেই বাড়ি থেকে ফ্রেশ মাইন্ডে বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন, চালকও গাড়ি ছোটান গতি মেপেই। তাই জন্য ব্যাস্তনুপাতিক হারেই সন্ধ্যার তুলনায় সকালে দুর্ঘটনার হার অনেকটাই কম। সমীক্ষা বলছে, গতবছর ৩১৮২টি দুর্ঘটনার মধ্যে ১৯৫৮টিই হয়েছে সকালে। তথ্য বলছে, ফাঁকা রাস্তায় দুর্ঘটনা হয়েছে ২১৭৪টি, সেখানে স্কুলের সামনে হয়েছে ১৩৮টি দুর্ঘটনা এবং কলেজের সামনে ৩১টি। সম্প্রতি বেহালার একটি স্কুলের সামনেও পথ দুর্ঘটনায় প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রের মৃত্যুতে কেঁপে উঠেছিল বাংলা। রাজ্য পরিবহণ দফতরের এক কর্মী বলেন, রাজ্যে গত কয়েক বছরে দুর্ঘটনার হার বেড়েছে। কেন বেড়েছে, তা নিয়েই প্রশাসনের তরফ থেকে একটি সমীক্ষা করা হয়। কোন রাস্তায় কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তারও এক পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *