কামাখ্যা মন্দিরের দরজা কেন নিজে থেকে বন্ধ হয় অম্বুবাচীতে ? মানুন এই বিশেষ কিছু নিয়ম কানুন

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : অম্বুবাচীতে মন্দিরের দরজা নিজেই বন্ধ হয়ে যায় মা কামাখ্যা তন্ত্রমন্ত্রের দেবী। বছরে ৩ দিন তাঁর দর্শন নিষিদ্ধ জানেন কেন? কেউ কখনও খালি হাতে ফেরে না শাস্ত্রমতে অম্বুবাচীর সময়ে কী করবেন আর কী করবেন না? তন্ত্র সাধনার অন্যতম স্থান আসামের গুয়াহাটির কামাখ্যা মন্দির। এখানে তন্ত্র-মন্ত্র চর্চার জন্য সবচেয়ে পবিত্র স্থান হিসাবে মনে করা হয়। বলা হয় মা সতীর যোনি অংশটি পতিত হয়েছিল। সকলের বিশ্বাস মা খুব তাড়াতাড়ি সকলের ইচ্ছা পূরণ করেন। এই কারণেই দেবীকে কামাখ্যা নামে পূজো করা হয়।

প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তন্ত্র-মন্ত্র সাধকরা আসেন অম্বুবাচী মেলায়। এই মেলা সারা বিশ্বে বিখ্যাত। এটি একটি জনপ্রিয় বিশ্বাস যে তিন দিন ধরে চলা এই মেলার সময় মন্দিরের দরজা আপনাআপনি বন্ধ হয়ে যায়। দেবীর ঋতুস্রাবের সময় তিনদিন দর্শন বন্ধ থাকে। কোচবিহারের রাজা নরনারায়ণ পুনরায় এই মন্দিরটির নির্মাণ করেন। কামাখ্যা মন্দিরে দেবীর যোনি পূজিত হয়। গুহার এক কোণে গর্ভগৃহ। এ ছাড়াও মন্দিরে দেবী দুর্গার কোনও মূর্তি নেই। বিশ্বাস রয়েছে মায়ের এই শুভ উৎসবে ভক্তদের দেবী কামাখ্যার আশীর্বাদ করে থাকেন । এই শুভ উৎসবে যে ভক্ত বিশ্বাসের সঙ্গে দেবীর আরাধনা করেন, তার সমস্ত মনোবাঞ্ছা শীঘ্রই পূরণ হয়।

এই বিশেষ সময়ে কামাখ্যা মন্দির চত্ত্বর এবং নীলাচল পাহাড়ে ভিড় উপচে পড়ে। বছরেরে এই সময়ে এক বিশেষ প্রসাদ পান ভক্তরা। দেবীর স্থানে একটি সাদা রঙের কাপড় বিছিয়ে দেওয়া হয় যা তিন দিন পর সেখান থেকে তোলা হয়। এই ভেজা কাপড় যাকে অম্বুবাচী কাপড় বলা হয়। সেটা দেবীর ভক্তদের প্রসাদ হিসেবে দেওয়া হয়। শাস্ত্র মতে অম্বুবাচীর সময়ে বিশেষ কিছু কাজ করবেন না।

যে কদিন অম্বুবাচী থাকবে সে সময়ে ঠাকুর ঘরে দেবীর ছবি বা মূর্তি লাল কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখবেন। অম্বুবাচী শেষ হওয়ার পর দেবীর আসন পাল্টে নিন। তার পর স্নান করিয়ে পুজো শুরু করতে পারেন। বাড়িতে তুলসী গাছ থাকলে তারগোড়া মাটি দিয়ে উঁচু করে রাখতে ভুলবেন না। এই সময়ে কোনও শুভ কাজ করবেন না এমনটাই মত জ্যোতিষীদের। অম্বুবাচীতে বেশ কিছু কাজ করা মানা থাকে। যা না মেনে চললে আপনার জীবনে কষ্ট আসতে পারে বলেই বিশ্বাস। তাই অম্বুবাচীতে বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে চলেন অনেকেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *