ক্রমশ কমছে পুজোর বাজেট, ক্লাবগুলিও একচালা প্রতিমার দিকেই ঝুঁকছে বাড়ির মতো

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : একদিকে করোনার কাঁটা।অপর তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা। তাই গতবারের মতো এবারও কলকাতার বেশ কয়েকটি পুজো কমিটি কাটছাঁট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুজোর বাজেটে। আড়ম্বরহীন এই পুজোয় নিয়ম রক্ষা করাই তাঁদের অনেকেরই লক্ষ্য। ফলে চলে আসা অনেক পুরনো প্রথাই বাদ দিতে হচ্ছে।

দেশপ্রিয় পার্কের পুজো পুজো হল কলকাতার বুকে নামী পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম।‌ তারা এক বিরাট পরিমাণ পরিবর্তন এনেছে পুজোর বাজেটে। যা নিয়ে বলতে গিয়ে দেশপ্রিয় পার্ক দুর্গোত্‍সব কমিটির সম্পাদক সুদীপ্ত কুমার বলেন, ‘ আমাদের যে বাজেট ছিল করোনার আগে প্রায় ৮০ শতাংশ কমানো হয়েছে সেই বাজেটের।পুজো হবে নমো নমো করেই । পুজোটা যেহেতু পার্কের ভেতরে হয় তাই অনেক লোক ভেতরে ঢুকতে পারেন না একসঙ্গে। ব্যবস্থা করা হবে অঞ্জলিও দূর থেকে দেওয়ার।’ বিজ্ঞাপনদাতাদের থেকেও যে এবছর খুব একটা কিছু আশা করা যাচ্ছে না সে বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘ খুবই খারাপ ব্যবসার অবস্থা। কাকে বলব বিজ্ঞাপনের জন্য?’

একদিকে যেমন বাজেটে কাটছাঁট করা হচ্ছে তেমনি মণ্ডপের মধ্যেও যাতে হাওয়া বাতাস খেলে বেড়াতে পারে সেই ব্যবস্থার দিকেও জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। ৬৬ পল্লির সম্পাদক প্রদ্যুম্ন মুখার্জি জানিয়েছেন, তিন দিক খোলা রাখা হবে তাঁদের মণ্ডপ। তাঁর কথায়, ‘গতবারও কাটছাঁট হয়েছে বাজেটে। এবারও তাই হবে। আমরা নিজেরাই চাইছি যাতে লোকে অঞ্জলি দিতে না আসে। সিঁদুর খেলা এবারও বন্ধ রাখা হবে গতবারের মতো। সবটাই করোনা সংক্রমণ এড়াতে।

আর এই বাজেটের প্রভাব পড়েছে প্রতিমার ওপরেও। কুমারটুলির বিখ্যাত মৃত্‍শিল্পী মিন্টু পাল বলেন, ‘আগে একচালার প্রতিমা গড়া হত কেবল মাত্র বনেদি বাড়ির পুজোয়। বাজেট কম হওয়ার কারণে গতবার থেকে ক্লাবের পুজোও ঝুঁকে পড়েছে এই একচালার প্রতিমার দিকেই । এবার যেটা আরও বেড়েছে সংখ্যায়।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *