অপরূপ এই সমুদ্র সৈকত হৃদয়কে আপ্লুত করবে মন জুড়িয়ে ! জানতেন কি কলকাতার খুব কাছেই রয়েছে এপ্রান্তের খোঁজ ?

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : বাঙালির আট থেকে আশি, বেড়াতে যাওয়ার কথা হলেই আবেগে ভাসেন। ভ্রমণপ্রিয় বাঙালি একটু সুযোগ পেলেই ব্যাগ-পত্তর বেঁধে রওনা দেয় ছুটি কাটাতে। বেড়ানোর তালিকায় হামেশাই নিত্যনতুন জায়গার খোঁজে থাকেন অনেকে। এই প্রতিবেদনে তেমনই এক অফবিট পর্যটন কেন্দ্রের হদিশ মিলবে। কলকাতার খুব কাছেই অপরূপ এই সাগরতট যেন নয়া আবিষ্কার। এখানকার নিরিবিলি-কোলাহলমুক্ত পরিবেশ আপনাকে মুহূর্তে কর্মব্যস্ত জীবনের সব স্ট্রেস ভুলিয়ে দেবে। এলাকার অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য তারিয়ে-তরিয়ে উপভোগের ষোলোআনা সুযোগ মিলবে।

কলকাতার কাছের এই সমুদ্র সৈকতটির নাম হল লালগঞ্জ । দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলার মধ্যে পড়ে এই এলাকা। শহর কলকাতা থেকে এর দূরত্ব মেরেকেটে ১৩০ কিলোমিটারের মতো। দিঘা , পুরী , মন্দারমণি , তাজপুর , শঙ্করপুর , বকখালি গিয়ে গিয়ে যাঁরা ক্লান্ত হয়ে গেছেন, তাঁরা পাড়ি জমাতেই পাড়েন বঙ্গোপসাগরের অপূর্ব এই পাড়ে।

সপ্তাহান্তে ছুটি কাটাতে বা দিন দু’য়েকের অবসরজাপনে এই জায়গা একেবারে পারফেক্ট চয়েজ। নামখানার কাছেই রয়েছে এই লালগঞ্জ সমুদ্র সৈকত । বঙ্গোপসাগরের পাড়ের চিত্তাকর্ষক শোভা আপনার হৃদয় জুড়োবেই। অপরূপ এই সাগরতটে লাল কাঁকড়ার সমাহার দেখতে পাবেন। সাদা বালির ফাঁক থেকে উঁকি দেয় কাঁকড়ার দল। বিচ বরাবার রয়েছে ঝাউবনের সারি, একটু দূরে তাকালেই ম্যানগ্রোভের ঘন জঙ্গল। সব মিলিয়ে অফবিট এই স্পটটির প্রাকৃতিক পরিবেশ ঠিক লেখনীর মাধ্যমে প্রকাশ করা বেশ কঠিন।

কীভাবে যাবেন লালগঞ্জে : কলকাতার দিক থেকে গেলে ট্রেন ধরে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার প্ল্যাটফর্ম থেকে নামখানা লোকাল ধরতে হবে। নামখানা স্টেশনে নেমে সেখান থেকেই লালগঞ্জ যাওয়ার সরাসরি অটো কিংবা টোটো পেয়ে যাবেন। কলকাতার দিক থেকে গাড়িতে গেলে ডায়মন্ড হারবার রোড ধরে নিন।

কোথায় থাকবেন লালগঞ্জে এলে ?এখানে সমুদ্রের পাড়ে টেন্ট পেয়ে যাবেন থাকার জন্য। টু বেড-ফোর বেড বা তারও বেশি লোকের থাকার জন্য টেন্ট রয়েছে। থাকা-খাওয়া হিসেবে এখানে খরচ নেওয়া হয়। জন প্রতি মোটামুটি ১২০০-১৫০০ টাকার মধ্যে খরচ পড়বে। ডাবল বেড, ফোর বেডের টেন্ট পেয়ে যাবেন থাকার জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *