চাকরিচ্যুত হল ৩৬০০০ জন শিক্ষক ! অবশেষে পর্ষদ ডিভিশন বেঞ্চে গেলো বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ৩৬ হাজার চাকরি বাতিলের মামলা এবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। ইতিমধ্যেই রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে মামলা করার অনুমতি দিয়েছে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়। আগামিকাল মামলার শুনানির সম্ভাবনা। এযাবৎ যত চাকরি বাতিল হয়েছে, এই সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গিয়েছে। ৩৬ হাজার চাকরি বাতিল হওয়ার পর বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। যাঁরা চাকরি হারিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে হাজার জন ডিভিশন বেঞ্চে এসেছেন। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে আসে পর্ষদও।

দুটি মামলাই গৃহীত হয়েছে। সেক্ষেত্রে মঙ্গলবার দুটি মামলার শুনানি একসঙ্গে হতে পারে। উভয়পক্ষরই বক্তব্য, যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাঁদের বক্তব্যই শোনা হয়নি। এত বছর ধরে কেন কোনও প্রশ্ন উঠল না। হঠাৎ কেন ২০২১-২২ সালে শিক্ষায় দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ উঠছে, তখন অযোগ্যদের চাকরি বাতিলের এই ‘ট্রেন্ডের’ মধ্যেই এমন নির্দেশ?

২০১৬ সালের প্রাথমিকের নিয়োগ সংক্রান্ত বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেই মামলা হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। ওই বছর প্রাথমিকের বিভিন্ন স্কুলে মোট ৪২ হাজার ৫০০ জন শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ৩৬ হাজার শিক্ষকের নিয়োগ নিয়ম মেনে হয়নি বলে অভিযোগ ছিল। আবার অনেকে অপ্রশিক্ষিত ছিলেন হলেও অভিযোগ ওঠে। সেই মামলার প্রেক্ষিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়ে দেন, ওই ৩৬ হাজার শিক্ষক আগামী চার মাসের মধ্যে প্যারা টিচার হিসাবে কাজ করবেন। তার পরবর্তীতে চার মাসের মধ্যেই পর্ষদ নিয়োগ করবে।

এরপর অবশ্য পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল জানিয়ে দেন, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে আইনিভাবে চ্যালেঞ্জ করা যায় কিনা, তা বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে। তারপর সোমবারই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় পর্ষদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *