জাতীয় দলে বারবার উপেক্ষিত বাংলার ক্রিকেটার! মুখ খুলে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ সৌরভের

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : জাতীয় টেস্ট দলে জায়গা পাওয়ার মাপকাঠি কি আইপিএলে ঝকঝকে পারফরম্যান্স! রুতুরাজ গায়কোয়াড ক্যারিবিয়ান সফরে সুযোগ পাওয়ার পরই এই আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে সরফরাজ খানের মত ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিকরা যখন বারবার উপেক্ষিত। তবে এই ধারণার সঙ্গে মোটেই একমত নন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সরাসরি বলে দিলেন, আইপিএল সেভাবে নজর কাড়তে না পারলেও সরফরাজের জাতীয় দলে সুযোগ প্রাপ্য।

সৌরভ সংবাদসংস্থাকে বলেছেন, “যশস্বী জয়সোয়াল রঞ্জি, ইরানি, দলীপ ট্রফিতে পারফর্ম করেছে। এই কারণেই ও জাতীয় দলে। সরফরাজ খানের খারাপ লাগার জায়গা অনুভব করতে পারছি। গত তিন বছর ধরে যেভাবে ও রানের ওপর রান করে গিয়েছে, তাতে কখনও না কখনও ওঁকে সুযোগ দেওয়া উচিত।“একই বিষয় অভিমন্যু ঈশ্বরণের (বাংলার) ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। গত পাঁচ-ছয় বছর ধরে ও প্রচুর রান করেছে। ওঁদের দুজনকেই বাইরে রাখায় আমি বেশ অবাক। ভবিষ্যতে ওঁদের সুযোগ দেওয়া হোক। তবে যশস্বী জয়সোয়ালের নির্বাচন খুব ভালো সিদ্ধান্ত।”

সরফরাজ খানকে নিয়ে চালু ধারণা হল, ফাস্ট বল খেলতে সেভাবে স্বছন্দ নন তিনি। তবে দিল্লি ক্যাপিটালস ফ্র্যাঞ্চাইজিতে সরফরাজকে একদম সামনে থেকে দেখার সুবাদে সৌরভ বলেছেন, “যদি ওঁকে ফাস্ট বোলিংয়ের মুখে ফেলা না হয়, তাহলে কীভাবে বোঝা যাবে? ওঁর যদি সত্যিসত্যি সমস্যা থাকত, তাহলে ঘরোয়া ক্রিকেটে এত রান করতে পারত না। ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়েছে, ফাস্ট বোলিংয়ের সামনে ওঁর কোনও সমস্যা নেই। ওঁকে সুযোগ দেওয়া অবশ্যই উচিত।”

এদিকে, ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের ঠিক আগেই আইপিএল আয়োজনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। সৌরভ দুই প্রান্ত থেকেই বিষয়টি সামনে থেকে দেখেছেন বোর্ড সভাপতি এবং পরবর্তীতে দিল্লি ক্যাপিটালসের ক্রিকেট ডিরেক্টর হওয়ার সুবাদে।

সৌরভের মত, “এই ধারণার সঙ্গে মোটেই একমত নই। অজিঙ্কা রাহানে আইপিএল এবং ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল দুটোতেই ভালো খেলেছে। অস্ট্রেলিয়ার বেশ কয়েকজন (ক্যামেরন গ্রিন, ডেভিড ওয়ার্নার) দুই ক্ষেত্রেই ভালো খেলেছে। আইপিএল শেষের পর পরিস্থিতির সঙ্গে ধাতস্থ হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় ছিল। ইংল্যান্ডে গিয়েও অনুশীলন করেছে ওঁরা। এরকম অতীতে হত। একই সঙ্গে টেস্ট এবং তারপরেই ওয়ানডে খেলতে হত। মনে হয় না এটা কোনও ইস্যু। আমার মনে হয়, আইপিএলে খেলার পর টেস্টের টেকনিক এবং টেম্পারমেন্টে বদল ঘটানোর দক্ষতা ব্যাটারের থাকা উচিত।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *