প্রস্তুতি তুঙ্গে গ্রামের প্রথম দুর্গাপুজোর ,কচিকাঁচাদের মুখে হাসি ফুটছে আশ্রমের বিশেষ এই উদ্যোগে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল , সেরকম ভাবে কোনও পোক্ত কাঠামোই নেই বাচ্চাদের শিক্ষা ব্যবস্থার। দুর্গাপুজা তো দূর অস্ত এরকম স্থানে। তাই প্রায় ১০কিলোমিটার দূরে অন্য গ্রামে ঠাকুর দেখতে যেত সিউড়ির গাংটে গ্রামের বাচ্চারা। আর খিচুড়ি প্রসাদ পেত তার সাথেই। কিন্তু এবছর বাচ্চাদের আর বহুদূর গ্রামে পাড়ি দিতে হবেনা মায়ের পুজো দেখতে। কারণ দেবী মায়ের আরাধনা করা হবে নিজেদের গ্রামেই।

জানা গেছে এই গ্রামে ১০ বছর ধরেএকটি আশ্রম চালানো হচ্ছে পাউশী অন্ত্যোদয় অনাথ আশ্রম এবং গাংটের ষষ্ঠীধর বৈদ্য জনকল্যাণ সমিতির যৌথ উদ্যোগে। এখানে শিক্ষাদান করা হয় আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পরা বাচ্চাদের। প্রায় ২০০ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে এই আশ্রমেরই স্কুলে। যদিও এখানেই শেষ নয় এই আশ্রমের কাহিনী, এই গ্রামের বহু মানুষ একেবারে রুজি-রোজগারহীন এবং নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন লকডাউনে। গত এক বছর ধরে আশ্রমে নিয়মিত খাওয়ানো হয় এই রকম প্রায় ৭০ জন মানুষকে। প্রথমে ব্যবস্থা করা হয়েছিল শুকনো খাবারের, কিছু দিন পর থেকে রান্না করা খাবার পরিবেশন করা শুরু হয়ে তা চলে আসছে এখনও পর্যন্ত।

গাংটে গ্রামে এবছর দুর্গোত্‍সবের সূচনা হয় সিউড়ির ২নং ব্লকের কোমা পঞ্চায়েতের অধীনে। এখন জোড় কদমে প্রস্তুতি চলছে সেই কাজেই। আগে এই গ্রামে ঘটপুজো করা হতো দুর্গা পুজোর সময়। এবছর রীতিমতো আনন্দের জোয়ারে ভাসছে এই গ্রাম। আগে বাচ্চারা পুরন্দরপুর গ্রামে পুজো দেখতে যেত ১০ কিমি পাড়ি দিয়ে। আর কষ্ট করতে হবে না এবছর, মায়ের আরাধনা হবে নিজেদের গ্রামেই। পুজো হবে আশ্রম চত্বরেই। এই পুজোতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন গ্রামের প্রচুর মানুষ জন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *