ফোন কি ভাবে ঠিক থাকল জলে ডুবে ওর মৃত্যু হলে ?’, অবশেষে পরিবারের খুনের তত্ত্ব মণীন্দ্র কলেজের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায়

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : অবশেষে উলুবেড়িয়াতে উদ্ধার হল সেলফি তুলতে গিয়ে গঙ্গায় তলিয়ে যাওয়া ছাত্রর দেহ । দিন আটেক আগে বাগবাজার লকগেটের কাছে সেলফি তুলতে যায় কলকাতার টালা এলাকার বাসিন্দা শেখ সৈয়দ। তখনই সে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এরপর রবিবার উলুবেড়িয়া থেকে উদ্ধার হয় তার মৃত দেহ ।

এদিকে পরিবার সূত্রে খবর, মৃতের বাবা সহ পরিবারের অন্য সদস্যরা দেহ আনতে ইতিমধ্যে গিয়েছেন। বিকেল তিনটে নাগাদ দেহ নিয়ে আসা হবে। এমনকি পুলিশের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করছেন শেখে সৈয়দের পরিবারও। সৈয়দের মা এও বলেন, “পুলিশ আমার বাচ্চাটাকে খুঁজে দিতে পারল না। যে ছ’জন বন্ধুকে ওরা আটক করেছে ঠিকঠাক ভাবে জেরা করেনি তাঁদেরকেও। কোনও কথার উত্তর দেয় না। মনে হয় টাকা খেয়ে বসে আছে ভিতর-ভিতর । কোনো গ্রাহ্যই করছে না আমরা গরিব বলে । একমাত্র ছেলেটা চলেই গেল।” এর পাশাপাশি মৃতের মা শেখ সৈয়দের বন্ধুদের বিরুদ্ধেও খুনের অভিযোগ তুলেছেন। তিনি জানান, “আমার ছেলে সোনার টুকরো। ওর বন্ধুরাই ওকে খুন করেছে। জিভ কেন বেরিয়ে থাকবে? গলা টিপে ওরা আমার ছেলেকে মেরে ফেলেছে। ও সেলফি তুলতে যায়নি। প্যান্টের পকেটে ফোন ছিল। যদি গঙ্গায় পড়ে যায়ও ওর ফোন নষ্ট হবে। কই ফোন তো নষ্ট হয়নি। প্যান্টের পকেটে ফোন ছিল সেটা কেটে বের করা হয়েছে।আমরা আবার থানায় যাব।”

স্থানীয় এক বাসিন্দা এও বলেন, “ওকে খুন করা হয়। জলে থাকলে মাছ কামড়ে খেয়ে নিত। ওর শরীর ভাল রয়েছে। জিভ বেরিয়ে ছিল। চোখ বেরিয়ে ছিল। নদীতে সেলফি তুললে ফোন তো পড়ে যাবে। ফোন তো পকেটে ছিল।”

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে মৃত্যু হয় মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র শেখে সৈয়দ। সৈয়দ বন্ধুদের সঙ্গে গিয়েছিলেন বাগবাজার গঙ্গার ঘাটে। সেই সময় ঘটে যায় চরম অঘটন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান তিনি সেলফি তুলতে গিয়ে গঙ্গায় পড়ে যান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন পরিবারের সদস্যরা।নর্থ পোর্ট থানায় তাঁরা বিষয়টি জানান। ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। সেই ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর শেখ সৈয়দের দেহ উদ্ধার হল উলুবেড়িয়া থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *