বেকারত্ব-মুদ্রাস্ফীতি ইস্যুতে সংসদের বিশেষ অধিবেশনের এজেন্ডা নিয়ে মোদী সরকারকে নিশানা কংগ্রেসের

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : ৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে লোকসভা এবং রাজ্যসভায় দুটি করে গুরুত্বপূর্ণ বিল পেশ করা হবে। এর মধ্যে অন্যতম হল প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত বিল।

কেন্দ্রীয় সরকার ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার ঘোষণা করেছে। এ অধিবেশনের আলোচ্যসূচি প্রকাশ না করে সংসদের বৈঠক ডাকার বিরোধিতা করে আসছে বিরোধী ইণ্ডিয়া জোট । বুধবার সন্ধ্যায় বিশেষ অধিবেশনের বিষয়ে সরকারের তরফে এক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করা হয়েছে। ১৯ সেপ্টেম্বর গণেশ চতুর্থীতে পুজো করা হবে নতুন সংসদ ভবনে। তার আগে ১৮ সেপ্টেম্বর পুরনো সংসদ ভবনকে আনুষ্ঠানিক বিদায় জানানো হবে। ১৭ সেপ্টেম্বর নয়া সংসদ ভবনে আনুষ্ঠানিক ভাবে পতাকা উত্তোলন করা হবে। বিশেষ অধিবেশনের আগের দিন রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে চারটেয় সর্বদল বৈঠক ডেকেছে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রক।

বুধবার সন্ধ্যায় সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সংসদের ৫ দিনের বিশেষ অধিবেশনে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত বিলটি অনুমোদন করা হবে। এছাড়াও, অ্যাডভোকেটস (সংশোধন) বিল ২০২৩ এবং প্রেস অ্যান্ড পিরিয়ডিক্যাল রেজিস্ট্রেশন বিল ২০২৩ নিয়েও লোকসভায় আলোচনা হবে। এই দুটি বিলই ৩ আগস্ট রাজ্যসভায় পাস হয়। এর সঙ্গেই পোস্ট অফিস বিল ২০২৩ আলোচনার জন্য লোকসভায় পেশ করা হবে।

সম্প্রতি সংসদের বিশেষ অধিবেশনের যে আলোচ্যসূচি প্রকাশ করেছে সরকার। এ নিয়ে সরকারকে নিশানা করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছে সময়ে সরকার যে এজেন্ডা প্রকাশ করেছে তাতে বিশেষ কিছু নেই।

সংসদের বিশেষ অধিবেশনের আলোচ্যসূচি ঘোষণার পর কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, ‘অবশেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সোনিয়া গান্ধীর লেখা চিঠির চাপে পাঁচ দিনের বিশেষ অধিবেশনের এজেন্ডা ঘোষণা করতে হয়েছে। বর্তমানে যে এজেন্ডা সরকার প্রকাশ করেছে তাতে বিশেষ কিছুই নেই। এই সকল আলোচনা করার জন্য নভেম্বরে শীতকালীন অধিবেশন পর্যন্ত অপেক্ষা করা যেতে পারত’। একই সময়ে, জয়রাম রমেশ বলেন, যে আমি নিশ্চিত যে বরাবরের মতো, সরকার শেষ মুহূর্তে ‘আইনী হ্যান্ড গ্রেনেড’ নিক্ষেপ করবে। নেপথ্যে আছে অন্য কিছু! পাশাপাশি সিইসি বিলের তীব্র বিরোধিতা করবে কংগ্রেস বলেও জানিয়েছে জয়রাম রমেশ।

কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেনুগোপাল এও বলেছেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠিতে সোনিয়া গান্ধী জনসাধারণের যে সাধারণ সমস্যাগুলি উত্থাপন করেছিলেন সেগুলি অধিবেশনের জন্য এখনও পর্যন্ত ঘোষিত এজেন্ডায় আলোচনা করা হয়নি। তিনি বলেন, ১৪০ কোটি ভারতীয় এই এজেন্ডা দেখে চরম হতাশ।

কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈও এজেন্ডা নিয়ে সরকারের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছিলেন যে এটি দুর্ভাগ্যজনক যে সিপিপি সভাপতি সোনিয়া গান্ধী সবচেয়ে গুরুতর সমস্যাগুলি তুলে ধরলেও, সরকার এবিষয়ে নীরব থাকতে চায়। তিনি বললেন মণিপুর, বেকারত্ব? হিমাচল প্রদেশে প্রাকৃতিক বিপর্যয়? মহারাষ্ট্রে খরা? মুদ্রাস্ফীতি? এ ধরনের বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *