মানুষের হৃৎস্পন্দন বোঝার যুদ্ধক্ষেত্রে প্রধান সেনাপতি শুভেন্দু অধিকারী জয়তিলক পরালেন রাজাকে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ ,তন্ময় সিংহ : গতপরশু স্বঘোষিত দিল্লির চানক্য কে স্বঘোষিত বাংলার চানক্য বলেছিলেন তিনে তিন। দিল্লীর চানক্যও ডুবলেন বৃদ্ধ শরদ পাওয়ারের চালে,আর বাংলাতেও মমতা ব্যানার্জীর প্রধান সেনাপতি শুভেন্দু অধিকারী দিদির হাতে তুলে দিলেন ঐতিহাসিক জয়। লোকসভা ভোটের পর সাময়িক বিপর্যয় এ মমতা ব্যানার্জী দায়িত্ব ভাগ করেন কর্পোরেট গুরু প্রশান্ত কিশোরকে স্ট্র্যাটেজির আর প্রধান সেনাপতি শুভেন্দু অধিকারী কে মাটি আগলে রাখার, কর্মীদের সবল রাখার। রাতারাতি নেতা হলে চলা বিজেপির দুষ্কৃতকারী নেতৃত্বের সীমাহীন শোষন, অত্যাচার, তোলাবাজি হাড় হিম করা সন্ত্রাসে পশ্চিমবঙ্গে সাময়িক অন্ধকার রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। রাজ্যপাল পদের অপব্যবহার করে নিলর্জ্জ চাটুকারিতা করতে থাকে, রাজ্য বিজেপির নেতারা প্রত্যেকদিন একটা করে অবাস্তব ও মহাপুরুষ দের অপমানজনক চটুল মন্তব্য করে বাজি মারার, খবরে থাকার চেষ্টা করে। সেই পটভূমিতে তৃনমুল “দিদিকে বলো” কর্মসূচি র মাধ্যামে জনসংযোগ শুরু করে, শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের এপ্রান্ত ওপ্রান্ত ঘুরে কর্মীদের পাশে দাঁড়ান ও মনোবল যোগান। নিজেদের গোষ্ঠী দ্বন্ধ ভুলে মমতা ব্যানার্জীর আবেদনে ঐক্যবদ্ধ হয় তৃনমুল, লোকসভায় মহুয়া মৈত্রের মতো নেত্রীরা “এনআরসি” নিয়ে বিজেপির তুমুল বিরোধিতা করে। তারই ফসল ঘরে তুললো তৃনমুল। কালিয়াগঞ্জ এ ৫৭০০০ এ পিছিয়ে ও খড়্গপুরে ৪৫০০০ এ পিছিয়ে থাকা দুটি বিধানসভায় এই প্রথমবারের জন্য তৃনমুল কংগ্রেসের প্রার্থী জয়ী হয়। খড়্গপুরে পৌরপ্রধান প্রদীপ সরকার এর চমকপ্রদ সাফল্য ও পিকের টীমের নীরব প্রচার এবং শুভেন্দু অধিকারীর নিয়মিত উপস্থিতি এই বহু ভাষাভাষীর মিনি ইন্ডিয়া তে তৃনমূলের জয়ের কারণ বলে খড়্গপুরের উপ পৌরপ্রধান শেখ হানিফ জানান। কালিয়াগঞ্জে “এনআরসি” র আতঙ্ক, প্রার্থী হিসাবে তপন দেব সিংহের জনপ্রিয়তা ও মাটি কামড়ে কর্মী এবং নেতৃত্বের পড়ে থাকাই জয়ের মূল কারণ বলে বিশিষ্ট তৃনমুল রাজ্য নেতৃত্ব অশোক রুদ্র জানান। মহুয়া মৈত্র নদীয়া তে নিজের পুরানো বিধানসভায় সমস্ত দায়িত্ব নিজে নিয়ে, লোকসভাতে সাময়িক অনুপস্থিত হয়েও শিক্ষক বিমলেন্দু সিংহ রায় আরও বড় মার্জিনে জয়লাভ করতে সাহায্য করেছেন। মা মাটি মানুষের অক্লান্ত সৈনিক ও এই যুদ্ধের প্রধান সেনাপতি শুভেন্দু অধিকারী দিদির হাতে তিনটি আসন তুলে দিয়ে আজ নিজের ক্যারিশ্মা ও রাজ্য জুড়ে জনপ্রিয়তা এবং গ্রহনযোগ্যতা প্রতিষ্ঠা করলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *