মুখ থ্যাতলানো দেহ শ্যামবাজারে স্কুলের সামনেই , ফের চরম নৃশংসতা শহর কলকাতার বুকে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : খাস কলকাতার বুকে দেহ উদ্ধার হল স্কুলের সামনেই। থেঁতলে গিয়েছে মুখ, এমনকি দেহও চূড়ান্ত ক্ষতবিক্ষত। দেহটি শ্যামবাজারে এভি স্কুলের মেইন গেটের অদূরেই পড়ে ছিল। বছর পঁয়তাল্লিশের ওই ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে , ওই ব্যক্তির মাথার পিছনে ভারী বস্তু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মুখও ইট দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়। এলাকায় রক্তের ছাপও মিলেছে । অদূরেই পুলিশ কিয়স্ক। তার সামনেই এভাবে দেহ পড়ে থাকার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যও ছড়ায় সমগ্র এলাকায়।

শ্যামবাজারের এভি স্কুলের সামেই একটি পুলিশ কিয়স্ক রয়েছে। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়ে এলাকারই এক পাম্প কর্মী প্রথমে দেহটি উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি কিয়স্কে কর্তব্যরত এক ট্রাফিক পুলিশকে বিষয়টি ডেকে দেখান। দেহ উদ্ধারের খবর তিনি তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। নিয়ম অনুযায়ী, দ্রুত দেহটি উদ্ধার করে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

চিকিৎসকরা আরো জানান , ওই ব্যক্তির মাথার পিছনে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে । তাতে প্রাথমিকভাবে মাথার পিছনে আঘাতের ফলেই ব্যক্তির মৃত্যু হয় । মৃত্যু নিশ্চিত করতে ইট দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয় মুখ। অবশেষে দেহটি পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। তদন্ত শুরু করে শ্যামপুর থানার পুলিশ। আপাতত তদন্তকারীরা জানতে পারেন , ওই ব্যক্তি রাঁধুনি। তাদের অনুমান এলাকার ছোটো হোটেলগুলিতে রান্নার কাজ করতেন ওই ব্যক্তি। কারণ দেহের পাশে রান্না করার সরঞ্জাম পড়ে ছিল। তবে মুখ চিনলেও, তাঁর কোনো নাম বলতে পারেননি এলাকাবাসীরা।

প্রশ্ন হচ্ছে, যেখানে দেহটি পড়েছিল তার অদূরেই পুলিশের কিয়স্ক। যদি খুন হয়ে থাকেন, তাহলে পুলিশ কিয়স্কের সামনেই কীভাবে ঘটল এই ঘটনা? নাকি অন্যত্র খুন করে দেহ ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছে। যদি তাই হয়, তাহলেও কীভাবে পুলিশের নজর এড়াল? সব কটি দিক খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *