‘মেয়েদের পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে যেত রাত হলেই !’ শাহজাহান তো চুনোপুঁটি, হাজার হাজার মহিলা রণংদেহি সন্দেশখালির প্রকৃত ‘হর্তাকর্তা’র নাম সামনে এনে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : আবারও ফের তেঁতে উঠেছে সন্দেশখালি। শাহজাহান এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এতদিনে তাঁর বিরুদ্ধে ঝাঁটা, লাঠি হাতে রাস্তায় নেমে পড়েছেন গ্রামের হাজার হাজার মহিলা। অভিযোগ, একটাই। শেখ শাহাজাহান একা নয়, গ্রামে এরকম আরও অনেক গুন্ডা রয়েছে, যাদের অত্যাচারে এতদিনে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে গ্রামের মেয়েদের। বুধবারের পর বৃহস্পতিবারই রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সন্দেশখালির আদিবাসী মহিলারা। কিন্তু কীসের দাবিতে? প্রশ্নটা করতেই তেড়েফুঁড়ে ওঠেন তাঁরা। এক মহিলা বলেন, “আমির গাজির নাম কেন সামনে আসছে না? ও তো শেখ শাহজাহানের মূল হর্তাকর্তা। দেবাশিস রয়েছে, লাল্টু রয়েছে, ওরা কোথায়? কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না?” আরেক মহিলা বলেন, “আমাদের জমি দখল করে রেখেছে। আমাদের ঘরের বাচ্চাগুলো নিয়ে যায়, বলে চল রাজনীতি করবি, হাতে বন্দুক তুলে দেয় ওরা। কেবল শিবু হাঁসদা আর উত্তমের নামই সামনে আসছে, বাকিদের নাম কেন প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে না?”

আরেক মহিলা বলেন, “আমাদের ছোটো ছোটো বাচ্চাগুলো স্কুল যাওয়া বন্ধ করিয়ে জোর করে রাজনীতিতে নামিয়েছে ওরা। বাড়ির মেয়েদের কোনও সম্মান দেয়নি। মেয়েদের শেষ করে ফেঁলেছে। রাত সাড়ে দশটার সময়েও মেয়েদেরকে তুলে আনত পার্টি অফিসে। আজ আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। ”

সন্দেশখালির গ্রামের মহিলারা আজ এক জোট হয়েছে । এমনকি ক্ষোভ উগরে দিয়েছে স্থানীয় থানা, পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধেও। প্রকাশ্যেই তারা বলছেন গ্রামের ‘গুন্ডাদের’ নাম। বয়স্ক এক মহিলা এও বলেন, “কেবল শেখ শাহজাহানই নয়, লাল্টু বোস, উপপ্রধান পিন্টু বোস, আমির গাজি, রঞ্জু এরকম কিছু লোক রয়েছে। শিবু হাঁসদা, উত্তম সর্দার সব মিলে আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকিয়েই দিয়েছে।ওরা বাইরে থেকে লোক ঢোকায়। ”

সন্দেশখালির বাজার জুড়ে লাঠি হাতে হাজার হাজার মহিলারা। তাঁরা আজ শাস্তির দাবিতে রাস্তায় নামেন । বাজারের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। সেসময়ে লাঠি হাতে মহিলারা পুলিশের সামনেই প্রতিরোধ গড়ে তোলেন । পুলিশকে ঘিরে এমনকি বিক্ষোভও দেখান। তাঁদের প্রশ্ন। এত দিন পুলিশ কোথায় ছিল? এক মহিলার অভিযোগ, “শিবু হাঁসদা, উত্তম সর্দাররা রাতে মা-বোনেদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে।” পুলিশ কর্তা তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। বলেন, “কেস হয়েছে, গ্রেফতার হয়েছে?” এর বেশি কোনো উত্তর দিতে পারেননি পুলিশ কর্তা। পুলিশকে ঘিরেও রাখেন গ্রামের মহিলারা। বুক চিতিয়ে তারা সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন। এককথায়, আজ রণংদেহি রূপে দেখা গেলো সন্দেশখালির আদিবাসী মহিলাদেরকে।

বেস্ট কলকাতা নিউজ : ‘মেয়েদের পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে যেত রাত হলেই !’ শাহজাহান তো চুনোপুঁটি, হাজার হাজার মহিলা রণংদেহি সন্দেশখালির প্রকৃত ‘হর্তাকর্তা’র নাম সামনে এনে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *