সময় মতো নেওয়া হল না অনেক পরীক্ষা, , হাজার হাজার পড়ুয়া চরম দুর্ভোগে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কীর্তিতে’

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপরে কি উচ্চ শিক্ষা দফতরের নজরদারি রয়েছে? লক্ষাধিক পড়ুয়া চরম দুর্ভোগের শিকার দক্ষিণবঙ্গের বর্ধমান এবং বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের`কীর্তি’র জেরে । আর তাতেই উঠে এলো এই প্রশ্ন । বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাবর্ষের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, সেমেস্টার ওয়ানের পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ২৫ এপ্রিলের মধ্যে । পরীক্ষার ফলপ্রকাশের দিন ধার্য ছিল ১৯ মে। সেখানে গত ২৮ মার্চ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয় ২০২২ সালের UG, PG সেমেস্টার ওয়ান, ২০২১ সালের M-PHIL সেমেস্টার ওয়ান, সেমেস্টার টু, PHD কোর্স ওয়ার্ক সেমেস্টার ওয়ান, প্রফেশনাল কোর্স ওয়ার্ক পরীক্ষা অনভিপ্রেত পরিস্থিতির জন্য নির্ধারিত সময়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয় পরীক্ষা গ্রহণে অনিশ্চয়তার বিজ্ঞপ্তিতে । চাপের মুখে পিজি সেমিস্টার ওয়ানের বিষয়ভিত্তিক পরীক্ষা ও ইউজি স্নাতক স্তরে সেমেস্টার ওয়ানের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলেও, কোনো পরীক্ষা হচ্ছে না শিক্ষাবর্ষের ক্যালেন্ডার মেনে ।

এই প্রসঙ্গে, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যা নিমাই সাহার বক্তব্য, পরীক্ষার তো সব তারিখ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি এও জানান, বুধবারই তার নোটিফিকেশন হয়ে গিয়েছে। পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে।এর ফলে পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, হুগলির ৫৯টি কলেজের লক্ষাধিক পড়ুয়ার সেমিস্টার ওয়ান সময়ে শুরু না হওয়ায়, সিলেবাস কম্প্রমাইজ় হবে। এমনটাই অনুমান করা হচ্ছে। কারণ পরীক্ষা শেষ হতে হতেই মে মাস। তারপর ছুটি দিয়ে ক্লাস, তারপরে তো সিলেবাস শেষ হওয়ার কথা!

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউজি সেমিস্টার ওয়ানের পরীক্ষা শেষ হ‌ওয়ার কথা জানুয়ারিতে। সেখানে নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সেমিস্টার ওয়ানের পরীক্ষা শুরু হবে ২৮ এপ্রিল। সেমিস্টার টু হ‌ওয়ার কথা জুনে। ফলে ৭৩টি কলেজের ইউজি পড়ুয়ারা প্রথম সেমিস্টার দিয়ে ছয় মাসের পরিবর্তে সময় পাবে ১৫ দিন থেকে ১ মাস! দ্বিতীয় সেমিস্টারের জন্য এর দায় কার?

আসলে এর পিছনে রয়েছে একটা বড় কারণ। জানা যাচ্ছে, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় একটি বেসরকারি সংস্থাকে বরাত দিয়েছিল পড়ুয়াদের অ্যাডমিট কার্ড, রেজিস্ট্রেশন, মার্কশিট তৈরি করার জন্য। সেই সংস্থা তিন বছর ধরে কোনও মার্কশিট সরবরাহ করতে পারেনি। অ্যাডমিট কার্ড ছাড়াও এমফিল, পিএইচডি কোর্সের পরীক্ষা হয়েছিল। তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয়। সেখারে দরপত্রে অনিয়ম ধরা পড়ে। বরাতপ্রাপ্ত সংস্থার বকেয়া আটকে দেওয়া হয়। অথচ ওই সংস্থার কাছেই পড়ুয়াদের ডেটাবেস ছিল। কিন্তু তা সময়ে ফেরত নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয়। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটাকে অভ্যন্তরীণ সমস্যা বলেই উড়িয়ে দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *