১১টি আঞ্চলিক ভাষায় ‘মোদী বিরোধী পোস্টার পড়লো সমগ্র দেশজুড়ে ’, বিজেপির তীব্র কটাক্ষ আপের কর্মসূচীকে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : দিল্লিতে ‘মোদি হটাও, দেশ বাঁচাও’-এর পর, প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে ভারতব্যাপী ১১টি ভাষায় মোদী বিরোধী পোস্টার সাঁটিয়ে বিজেপিকে কোনঠাসা করতে চাইছে আপ।আম আদমি পার্টি আজ সারা দেশ জুড়ে ১১টি ভাষায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে পোস্টার প্রদর্শন করবে। রাজধানীতে “মোদী হটাও, দেশ বাঁচাও” পোস্টার লাগানোর কয়েকদিন পরেই আপের তরফে এমন কর্মসূচি প্রসঙ্গে বিজেপির তরফে বলা হয়েছে ‘এটি পরিবেশ নষ্ট করার এক ষড়যন্ত্র’

আম আদমি পার্টির নেতা গোপাল রাই বলেছেন ৩০ মার্চ, সারা দেশে হিন্দি এবং ইংরেজি সহ ১১টি আঞ্চলিক ভাষায় ‘মোদি হটাও, দেশ বাঁচাও’-এর পোস্টার লাগানো হবে।বিভিন্ন ভাষায় পোস্টার প্রকাশ করা হবে।এই তথ্য দিয়ে, আম আদমি পার্টির সিনিয়র নেতা গোপাল রাই বলেছেন ৩০ শে মার্চ, দেশ জুড়ে ১১ টি ভাষায় পার্টির পক্ষ থেকে ‘মোদি হটাও, দেশ বাঁচাও’ পোস্টার পড়বে। এর আগেও পোস্টার যুদ্ধ নিয়ে যন্তর মন্তর থেকে দিল্লির রাজপথে মুখর ছিল আম আদমি পার্টি। এখন হিন্দি, ইংরেজি, গুজরাটি, উর্দু, বাংলা, মারাঠি এবং তামিল সহ অন্যান্য দক্ষিণ ভারতীয় ভাষায় পোস্টার প্রকাশিত হচ্ছে, যাতে লেখা আছে ‘মোদি হটাও, দেশ বাঁচাও’।

এই বিষয়ে, বিজেপি মুখপাত্র খেমচাঁদ শর্মা এই ধরণের কর্মসূচীর বিষয়ে তীব্র আপত্তি প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন যে এটি অত্যন্ত লজ্জাজনক এবং দেশের ভাবমূর্তি সহ পরিবেশ নষ্ট করার একটি বড় ষড়যন্ত্র । আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল দুর্নীতিবাজদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। মাত্র ৯ বছরেই তিনি দিল্লি লুট করেছেন এবং দুর্নীতিবাজদের এক বাহিনী গড়ে তুলেছেন।

খেমচাঁদ শর্মা বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়ন করছে এবং প্রতিদিনই নতুন রেকর্ড গড়ছে। ভারতের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র চলছে, যা দিল্লির মানুষ ভালো করে বুঝতে পারছে।”

এদিকে পোস্টার কাণ্ড নিয়ে আপের তরফে এক টুইট বার্তায় বলা হয়েছে “মোদী সরকারের স্বৈরাচার চরমে। পোস্টারে এত আপত্তিকর কী আছে যে মোদীজি ১০০টি এফআইআর দায়ের করেছেন? প্রধানমন্ত্রী মোদী, আপনি সম্ভবত জানেন না, ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ। পোস্টারে এত ভয়! কেন?”

অন্যদিকে আপ প্রধান কেজরিওয়াল সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এও বলেন, “স্বাধীনতার আগে যখন স্বাধীনতা সংগ্রামীরা পোস্টার লাগাতেন, তখন ব্রিটিশরা তাদের বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর বা ব্যবস্থা নেয়নি, গণতান্ত্রিক দেশে পোস্টার লাগানো নিয়ে কেন মোদীজির এত আপত্তি”?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *