৬০ মিনিটে ১০ লক্ষ চারা রোপণ তেলাঙ্গানায়, সবুজায়নের বার্তা কর্নাটকে ২১ একরের জঙ্গলে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ১ ঘণ্টায় ১০ লক্ষ৷ হ্যাঁ, অবিশ্বাস্য হলেও তেলাঙ্গানার আদিলাবাদ জেলায় রেকর্ড সংখ্যক চারা রোপণ করা হয়েছে ৬০ মিনিটের মধ্যে৷ রবিবার “গ্রিন ইন্ডিয়া চ্যালেঞ্জ” -এর চার বছর উপলক্ষ্যে রাজ্যসভার সাংসদ যোগীনিপল্লি সন্তোষ কুমার এই সবুজায়নের বিশেষ উদ্যোগ নেন৷
সমগ্র এলাকাকে ১০ টি ভাগে বিভক্ত করে এই তুলকালাম কাণ্ড ঘটিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছেন তেলাঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি-র ৩০ হাজারেরও বেশি সদস্য মিলে৷ ২০০ একর জায়গায় ৫ লক্ষ চারা রোপণ করা হয়েছে আদিলাবাদে দুর্গানগরের গ্রামাঞ্চলে৷ তাঁরা আদিলাবাদের বেলা মণ্ডল প্রান্তিক অঞ্চলে লাগিয়েছেন ২ লক্ষ চারা আর শহরাঞ্চলের ৪৫ টি বাড়িতে লাগিয়েছেন ১,৮০,০০০ চারা৷ এ ছাড়া আর অ্যান্ড বি রোডে রোপণ করা হয়েছে ১,২০,০০০ চারা ৷
এই অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে সাংসদ যোগীনিপল্লি সন্তোষ কুমারবলেন, “নিয়ম মেনে সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানের ভিডিয়ো রেকর্ডিং করে পাঠানো হয়েছে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস -এ, যাতে এটা সর্বোচ্চ স্থান পায় ৷” সাংসদ ছাড়াও এ দিন উপস্থিত ছিলেন তেলাঙ্গানার পরিবেশ ও প্রযুক্তি মন্ত্রী আলোলা ইন্দ্রা করণ রেড্ডি, বন দফতরের বেশ কিছু আধিকারিক আর টিআরএস-এর বিধায়কেরা ৷ উদ্যোক্তারা এমনকি প্রশংসাজনক সংশাপত্র পেয়েছেন দুর্গানগর অঞ্চলে চারা রোপণ কর্মসূচি দেখার পর ওয়ান্ডার বুক অফ রেকর্ডস-এর তরফেও।
অন্যদিকে, ২১ একর রুক্ষ জমি কিনেছিলেন শিল্পপতি সুরেশ কুমার কর্নাটকের শিমোগা জেলার সাগরে৷ পরিবেশবিদ অখিলেশ ছিপলির সাহায্যে তিনি সেই সুখা জমিকে ঘন জঙ্গলে রূপান্তরিত করেছেন মাত্র ১০ বছরে৷ নাম দিয়েছেন “ঊষা কিরণ” ,অর্থাৎ ভোরের আলো৷ এই প্রসঙ্গে পরিবেশবিদ অখিলেশ বলেন, “এখানে রয়েছে পশ্চিমঘাট পর্বতমালার বিশেষ কিছু গাছও ৷ বেশিরভাগই নিজে থেকে বেড়ে উঠছে ৷ আমরা শুধু রক্ষা করছি সেগুলোক৷ এটা পশ্চিমঘাটের জঙ্গল ৷”