এখনো আদানির পতন অব্যাহত ধনীতমের তালিকায়, বিতর্কিত এই শিল্পপতির কত নম্বরে ঠাঁই হল? জেনে নিন

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : বিগত কয়েক দিন ধরে তাঁর নাম রয়েছে সংবাদপত্রের শিরোনামে নাম। এমনকি সংসদের দুই কক্ষের হাওয়া গরম হয়েছে তাঁর কারণে । কিছুদিন আগেই আমেরিকার লগ্নী সংক্রান্ত গবেষণাকারী সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট এও জানিয়েছে, কারচুপি করে আদানি গোষ্ঠী নিজেদের সংস্থার শেয়ারের দর বাড়িয়েছে। আর তার পরেই চারিদিকে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। মোদী ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি গৌতম আদানির দিকে অভিযোগের আঙুল ওঠে । সেইসঙ্গে এই গোটা বিষয়ে কেন চুপ প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী , তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। এবার এই পরিস্থিতিতে প্রকাশ্যে এসেছে আরও একটি তথ্য। যা আদানি গোষ্ঠীর জন্য মোটেই সুখকর নয়। বিতর্কিত এই শিল্পপতি গৌতম আদানি বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় প্রথম ২৫-এর বাইরে চলে গিয়েছেন ।

উল্লেখ্য ,ব্লুমবার্গের বিলিওনেয়ার ইনডেক্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, আদানির ২৯তম স্থানে ঠাঁই হয়েছে । ভারতীয় এই ধনকুবেরের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৪ হাজার ২৭০ কোটি ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যার হিসেব করলে দাঁড়ায় প্রায় ৩ লক্ষ ৫৩ হাজার কোটি টাকা। অন্যদিকে ফোবর্সের রিয়েল টাইম বিলিয়নেয়ারের তালিকাতে গৌতম আদানির ২৬তম স্থানে জায়গা হয় । ফোবর্সের হিসেব বলছে আদানির সম্পত্তির মূল্য আনুমানিক ৪,৩৪০ কোটি ডলার। প্রসঙ্গত, ধনীদের তালিকায় শিল্পপতি গৌতম আদানির দিন দিন পতন হচ্ছে। বলতে গেলে, তাঁর অবস্থান ক্রমাগত নিচের দিকে যাচ্ছে হিন্ডেনবার্গে রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই ।

‘সংবাদ পত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত আদানির মালিকানাধীন সংস্থাগুলি হারিয়েছে ১৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজার মূলধন। তাঁদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাঁরা তা অস্বীকার করলেও মানতে নারাজ সবাই। তাঁদের অভিযোগ অস্বীকার করায় তেমন কোনও লাভ হয়নি। নিজেদের অবস্থান বারবার সকলের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করলেও, আদানি গোষ্ঠীর জন্য তার ফল ভালো হয়নি। বুধবার ১০.৪ শতাংশ স্টক কমেছে আদানি এন্টারপ্রাইজের । ভাবতেও অবাক লাগে বছরের শুরুতে তৃতীয়তম ধনী ব্যক্তি ছিলেন গৌতম আদানি। বর্তমানে তিনি এশীয় মহাদেশের চতুর্থ ধনীতম ব্যক্তি। ১ নম্বরে রয়েছেন মুকেশ আম্বানি। দিন দিন যেভাবে আদানি গোষ্ঠীর স্টক কমছে, তাতে ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় তাঁর স্থান আরও নিচে নামতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *