ব্যবসা উঠেছে প্রায় লাটে, অবশেষে এ রাজ্যের ব্যবসায়ীরা যাচ্ছেন পরিবেশবান্ধব বাজি তৈরি শিখতে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : অবশেষে এ রাজ্যের আতশবাজি ব্যবসায়ীরা এ বার তামিলনাড়ুর যাচ্ছেন পরিবেশবান্ধব বাজি বা গ্রিন ক্র্যাকার তৈরি শিখতে। রাজ্যের অধিকাংশ উৎপাদকই তা জানেন না এ ধরনের বাজি কী ভাবে তৈরি করতে হয়। হাতেকলমে শিখতে তাই তাঁরা অবশেষে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তামিলনাড়ু যাওয়ার।মূলত , তাদের ব্যবসায় টানাপড়েনের প্রভাব পড়ছে বছরের পর বছর বাজির দূষণ নিয়ে বিতর্ক, বিধিনিষেধ এর জেরে।এদিকে এ বছর তো কলকাতা হাই কোর্ট নিষিদ্ধই ঘোষণা করে দিয়েছে সব ধরনের বাজিকে । পরিবেশবান্ধব বাজি তৈরি শিখে এসেঅবশেষে ব্যবসায়ীরা এই অনিশ্চয়তার থেকে বার হয়ে আসার রাস্তা খুঁজছেন।
তামিলনাড়ুতে প্রশিক্ষণ হবে চলতি নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। আতশবাজি উন্নয়ন সমিতি এও জানাচ্ছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার চম্পাহাটির হারালের ১৭ জন ও বজবজের নুঙ্গি থেকে ১৪ জন ব্যবসায়ী এই বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে যাবেন। সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায় আরও বলেন, ‘কোল্ড ফায়ার এবং কী কী পদ্ধতিতে পরিবেশবান্ধব বাজি তৈরি করা যায়, আমাদের সে সবের হাতেখড়ি হবে। আতশবাজিতে এমন মশলা বা কেমিক্যাল ব্যবহার করা হবে, যা থেকে আগুন ধরবে না মানব শরীরে। অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে বাজিতে আগুন দেওয়ার পর। কিন্তু তা হবে না এই সম্পূর্ণ নতুন পদ্ধতিতে। এই রকম বাজি অনেকটাই নিরাপদ।’ তিনি আরও বলেন, ‘গ্রিন ক্র্যাকার বানাতে কোন মশলা কতটা পরিমাণ দিতে হবে, প্রশিক্ষণ শিবিরে তা বোঝানো হবে। যাতে কম ধোঁয়া বার হয়, ফর্মুলা বার করা হয়েছে সেই মতোই। গ্রিন ক্র্যাকারে বেরিয়ামের মাত্রা কম থাকায় দূষণও কম হবে।’
সব মিলিয়ে ১২ দিনের প্রশিক্ষণ হবে তামিলনাড়ুর কলেশ্বরী কলেজে। প্রশিক্ষণ শেষ হলে শংসাপত্র দেবে নাগপুরের ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট। এই লাইসেন্স পেলেই পরিবেশবান্ধব বাজি তৈরি করে প্যাকেটে তার লোগো ছাপানো যাবে।