ইচ্ছা করছে’‘বাবা-মাকে শেষ করে ফেলতে , ক্রমশ রহস্য দানা বাঁধছে মৃত্যুর আগে সুমনের ফেসবুক লাইভ ঘিরে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : একদিকে পাশে শুয়ে বাবা। মুখে চোখে ভয় আর চরম আতঙ্কের ছাপ। ফেসবুক লাইভে যখন বলতে শুরু করলেন তখন গলাটা ধরে আসছে। লাইভের শুরুতেই বারবার বললেন অপমানের কথা। গত ২৮ ডিসেম্বর এই লাইভটি করেছিলেন গড়িয়ার সুমন রাজ মৈত্র। এদিন সকালেই তাঁদের ফ্ল্যাট থেকে তাঁর ও বাবা-মায়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। আত্মহত্যা নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। দেখা যাচ্ছে, গত ২৮ ডিসেম্বর দুপুরে ২০ মিনিট এবং ৫৯ সেকেন্ডের দুটো ফেসবুক লাইভ করেন সুমন।
ওই লাইভেই সুমনকে বলতে শোনা যায়, ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে আছি। সাহায্য নেওয়ার কোনো জায়গা নেই। হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু কে বা কারা দিচ্ছে সেটা স্পট করেননি ফেসবুক লাইভে। লাইভে আরও বলতে শোনা যাচ্ছে, ফ্যমিলির সঙ্গে ইউটিউবে কিছু দেখছিলাম। নিজেদের মধ্যে কিছু কমেন্ট করেছিলাম। বাইরে থাকে কেউ শুনতে পেয়ে যায়। বাড়িতে দরজা ভেঙে ঢুকে আসতে চাইছে। দেখতে পেলেই মেরে দেবে। হঠাৎ করে কিছু মানুষ আমার উপরে ক্ষেপে গেছে। প্রথম দিন থেকেই কেউ কেউ আমাকে অপদস্থ অপমান করছে। আমার আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। কোথায় পালাবো! আমাকে তো সেখানেও ধরবে। আমাকে তো বোঝাতে পারতো। মামাকে জানিয়েছি। মামা ব্যবস্থা করবে বলছে। কিন্তু কিছু লোকজন পাগল পাগল বলছে। এমনকি ফেসবুক লাইভে শেষের দিকে বলছেন, ভাবছি এবার নিজেকে শেষ করে দেব। বাবা, মাকে শেষ করে ফেলতে ইচ্ছা করছে।
এই ফেসবুক লাইভ ঘিরে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। নতুন করে রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে। এই সব তথ্য দেখেই পুলিশের অনুমান মানসিক অবসাদের জায়গা থেকে বাবা-মাকে খুন করে নিজে আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারেন সুমন। ইতিমধ্যেই পুলিশ সুমনের মোবাইল ফোনও বাজেয়াপ্ত করেছে। সুমনের এই ফেসবুক লাইভের কনটেন্টের কোনও যথার্থতা আদতে আছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মানসিক অবসাদ ও অসুস্থতার কারণেই এ ধরনের কথা তিনি বলছেন কি না সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যদিও এদিন মৃতের মামাকে এই ফেসবুক লাইভ নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি।