‘ECMO’ প্রাণ বাঁচাল কোরোনা আক্রান্তের

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : রোগীকে একের পর এক ওষুধ দেওয়া হচ্ছিল COVID-19-এর চিকিৎসার জন্য। এমনকী প্রয়োগ করা হয়েছিল প্লাজমা থেরাপিরও। অথচ, বছর ৪০-এর এই রোগীর শারীরিক অবস্থার কোনো রকম উন্নতি হচ্ছিল না ২৪ দিন ভেন্টিলেটরের সাপোর্টে রাখার পরেও। যার জেরে চিকিৎসকরা একরকম চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন। কম বয়সি এই রোগীর মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ফুসফুসের কারণে আরও বেড়ে গিয়েছিল তাঁদের উদ্বেগ।

রোগীর ফুসফসকে বাঁচানোর জন্য তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তাঁর ফুসফসকে কার্যত বিশ্রামে রেখে চিকিৎসার করার ব্যাপারে। এর জন্য এই রোগীকে তখন রাখা হয় ECMO (Extra-corporeal membrane oxygenation)-র সাপোর্টে। এর পরে ক্রমশ উন্নতি হতে থাকে এই রোগীর শারীরিক অবস্থার। অবশেষে, চিকিৎসকরা সমর্থ হলেন এই রোগীকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনতে, এবং বাড়িও ফিরলেন এই রোগী হাসপাতাল থেকে।

জানা গেছে, জুন মাসে ঢাকুরিয়ায় অবস্থিত বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভরতি করানো হয়েছিল সল্টলেকের বাসিন্দা বছর ৪০-এর এক ব‍্যক্তিকে। এই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল , COVID-19-এ আক্রান্ত এই ব‍্যক্তিকে যখন এই হাসপাতালে ভরতি করানো হয়েছিল, তখন মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ছিল তাঁর ফুসফুস। এর পরে একের পর এক প্রয়োজনীয় সব ওষুধ দেওয়া হচ্ছিল এই রোগীর চিকিৎসার ক্ষেত্রে। এমনকি প্লাজমা থেরাপির প্রয়োগ-ও করা হয়েছিল এই রোগীর উপর। তবে কোনো রকম উন্নতি হচ্ছিল না তাঁর শারীরিক অবস্থার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *