অক্সিজেন সিলিন্ডারের কালোবাজারির অভিযোগ কোরোনা পরিস্থিতির মধ্যেও, চরম সমস্যার মধ্যে রোগীরা
বেস্ট কলকাতা নিউজ : অনেকক্ষেত্রেই অনেক অক্সিজেন দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে মুমূর্ষু ও সঙ্কটজনক রোগীকে। কোরোনায় আক্রান্তদেরও অক্সিজেন দেওয়া হয় এমনকি শ্বাসকষ্ট দেখা দিলেও। কিন্তু, বর্তমানে বাজারে ঘাটতি দেখা দিয়েছে এই অক্সিজেন সিলিন্ডারেরই।এমনকি জোগান নেই চাহিদা মতো। আরও অভিযোগ, কালোবাজারি হচ্ছে এমনকি অক্সিজেন সিলিন্ডারেরও। অভিযোগ উঠেছে অনেকেই বেআইনিভাবে সিলিন্ডার মজুত করে রাখছে বলেও।
মূলত লিটারে বিক্রি হয় অক্সিজেন সিলিন্ডার। অভিযোগ উঠেছে এমনকি আপদকালীন পরিস্থিতিতেও প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সিলিন্ডার মিলছে না বলেও। রাখতে হচ্ছে রিকুইজ়িশন দিয়েও। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, অক্সিজেন না পাওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই কোরোনা আক্রান্তের মৃত্যু হচ্ছে সংকটজনক অবস্থায়। অথবা হাসপাতালে কোনওমতে পৌঁছলেও তাঁরা পাচ্ছেন না চিকিৎসার কোনো সুযোগ। শুধু কোরোনা কেন, অক্সিজেন গুরুত্বপূর্ণ যে কোনও রোগ বা বড় অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রেও। কিন্তু অভিযোগ, রোগীরা অক্সিজেন পাচ্ছেন না প্রয়োজন মতো। এখন অক্সিজেনের ঘাটতি চলছে কলকাতার বিভিন্ন অক্সিজেন বণ্টনকারী সংস্থায়।
চড়া দাম হওয়ায় শুধু কোরোনা রোগী নয় অক্সিজেন কিনতে পারছেন না অনেকেই। অক্সিজেন সিলিন্ডার পাওয়া যাচ্ছে না এমনকি সিংহভাগ ওষুধের দোকানেও। ফলে চরম সমস্যায় পড়ছেন বহু মুমুর্ষ রোগী। সেই অভিজ্ঞতার কথাই জানালেন শ্যামবাজারের বাসিন্দা সৌরভ সোম। তার কথায় , কয়েকদিন আগে এক আত্মীয়র জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডার কিনতে গিয়েছিলাম । কিন্তু যে অক্সিজেন সিলিন্ডারের দাম ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা তার মূল্য ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা চাওয়া হয়। এখন টাকা নেই মানুষের কাছে। সিলিন্ডারের কালোবাজারি হচ্ছে এমনকি তার মধ্যেও। অক্সিজেন সিলিন্ডার বণ্টনকারী সংস্থা থেকে সাধারণ মানুষ প্রত্যেকেরই আবেদন, রাজ্য সরকার আরও তৎপর হোক কালোবাজারি আটকাতে। অন্যদিকে, স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা মুখ খুলতে চায়নি এই বিষয়ে।