গুগল পা দিল ২৫ বছরে, সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট হাঁটল স্মৃতির সরণি ধরে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ২৫ বছরে পদার্পণ করল সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট Google। একটি বিশেষ ডুডল দিয়ে দিনটিকে সেলিব্রেট করা হচ্ছে। 27 সেপ্টেম্বর, 2023, বুধবার আপনি যদি Google Search-এ যান, তাহলে ‘G25gle’ লেখা দেখতে পাবেন। Google Inc-র প্রতিষ্ঠা করা হয় 4 সেপ্টেম্বর। কিন্তু এক দশকেরও বেশি সময় ধরে 27 সেপ্টেম্বরেই সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্টের জন্মদিন পালিত হচ্ছে।
Google এদিন তার ব্লগে লিখেছে, “আজকের ডুডলের মধ্যে দিয়ে আমরা Google-এর 25তম জন্মদিন উদযাপিত হচ্ছে। যখন এখানে Google-এ আমরা ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে থাকি, সেখানে জন্মদিনগুলিও প্রতিফলিত করার একটি সময় হতে পারে। আসুন, আমরা 25 বছর আগে কীভাবে জন্মগ্রহণ করেছি, তা জানার জন্য স্মৃতির সরণি বেয়ে হাঁটা যাই।”
দুই ডক্টরাল পুত্র সের্গেই ব্রিন এবং ল্যারি পেজ Google-এর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন 90-এর দশকের শেষ দিকে। স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স প্রোগ্রামে তাঁদের দুজনের দেখা হয়েছিল। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবকে আরও বেশি সংখ্যক মানুষের জন্য অ্যাক্সেসেবল করে তুলতে তাঁরা প্রায় এক চিন্তাভাবনাই করছিলেন। সেই চিন্তাভাবনা থেকেই জন্ম নেয় গুগলের। সার্চ ইঞ্জিনের প্রোটোটাইপ তৈরি করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছিলেন সের্গেই এবং ল্যারি।
Google তার ব্লগ পোস্টে যোগ করেছে, “এই প্রকল্পে ভাল অগ্রগতি হতে থাকায় তাঁরা গুগলের প্রথম অফিস ভাড়া নেন। ভাড়া নেওয়া হয় একটি গ্যারেজ। তারপরই 1998 সালের 27 সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিক ভাবে জন্ম নেয় Google Inc।” 1998 সালের পর থেকে গুগলে একাধিক পরিবর্তন এসেছে। তবে সে যত পরিবর্তনই আসুক না কেন, তাদের লক্ষ্য যেন কোথাও একই থেকে গিয়েছে- “বিশ্বের সব তথ্য সংগঠিত করা এবং সেটিকে সকলের ব্যবহারযোগ্য ও প্রয়োজনীয় করে তোলা।” ব্লগপোস্টে Google লিখছে, “গত 25 বছর ধরে আমাদের সঙ্গে থাকা এবং নিজেদের ডেভেলপ করার জন্য ব্যবহারকারীদের ধন্যবাদ।”
এই মুহূর্তে Google-এর সিইও সুন্দর পিচাই। সার্চ ইঞ্জিনটির জন্মদিনের আগেই গত মাসে তিনি একটি নোট লিখেছিলেন। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে কোম্পানির যাত্রা, প্রযুক্তির পরিবর্তনে গুগলের ভূমিকা এবং ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়েই সেই নোটটি লিখেছিলেন তিনি। গুগলের প্রত্যেক ব্যবহারকারী, কর্মচারী এবং অংশীদারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি। পাশাপাশি উদ্ভাবনের ক্রমাগত চ্যালেঞ্জ এবং অতীত ও বর্তমান গুগলারদের উৎসর্গের জন্যও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সুন্দর পিচাই।ওই নোটে মিস্টার পিচাই উদ্ভাবনের গুরুত্বও তুলে ধরেছেন। তিনি স্বীকার করেছেন, একসময় যাকে অসাধারণ প্রযুক্তি হিসেবে দেখা হত, তাই পরবর্তীতে সমস্ত মানুষের কাছে ‘সাধারণ’ হয়ে ওঠে।