অবশেষে মোদী সরকারের বড় পদক্ষেপ ! বহুদিনের ইচ্ছাপূরণ হতে চলেছে পাকিস্তানবাসী হিন্দু নাগরিক দের

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

পাকিস্তানে বসবাসকারী হিন্দুদের ইচ্ছাপূরণে ব্যবস্থা মোদী সরকারের। প্রতিবেশী দেশে বসবাসকারী হিন্দুদের অনেকের শেষ ইচ্ছা মৃত্যুর পরে তাঁদের ছাই যেন গঙ্গায় বিসর্জন দেওয়া হয়। কিন্তু পাকিস্তান থেকে দেহাবশেষের ছাই আনা সহজ নয়। তবে সেই পরিস্থিতিতে মোদী সরকার জানিয়েছে, পাকিস্তানি হিন্দুদের পরিবারের সদস্যরা মৃত ব্যক্তির ছাই নিয়ে উত্তরখণ্ডের হরিদ্বারে যেতে পারবে এবং ধর্মীয় আচার অনুযায়ী, গঙ্গায় অস্থি বিসর্জন দিতে পারবে।
সাধারণভাবে কোনও হিন্দু ব্যক্তির মৃত্যুর পরে তাঁর অস্থি গঙ্গায় বিসর্জন দেওয়াকে ভাল বলে মনে করা হয়। অনেক হিন্দুর বিশ্বাস যদি ছাই হরিদ্বারের গঙ্গায় বিসর্জন দেওয়া হয়, তাহলে তাঁদের আত্মার স্বর্গে যাওয়ার পখ প্রশস্ত হয় এবং পুনর্জন্মের প্রক্রিয়া থেকেও রক্ষা পায়।
ভারতের নরেন্দ্র মোদী সরকার পৃষ্ঠপোষকতা নীতিতে সংশোধন করে। ফলে এবারই প্রথমবার হবে, যখন প্রায় সাড়ে চারশো পাকিস্তানি হিন্দুর ছাই তাদের পরিবারের সদস্যরা নিয়ে হরিদ্বারের গঙ্গায় বিসর্জন দেবেন। বর্তমানে সেইসব দেহাবশেষ করাচির কিছু মন্দির-শ্মশান কিংবা অন্য কোনও জায়গায় রাখা রয়েছে।
পাকিস্তানের হিন্দুরা ভারতের নরেন্দ্র মোদী সরকারের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। কেননা পাকিস্তানের বহু সংখ্যক হিন্দুকে দাহ করার পরে তাঁদের হাড় কিংবা ছাই মন্দির ও শ্মশানে রাখা হয়েছিল। পরিবারগুলি আশাবাদী ছিল একদিন ভারত সরকারের সিদ্ধান্ত তাঁদের পক্ষে যাবে এবং প্রিয়জনের ছাই হরিদ্বারে নিয়ে যেতে পারবেন। এতদিন পর্যন্ত ভারত সরকারের নীতি ছিল, একজন মৃত পাকিস্তানি হিন্দুর পরিবারের সদস্যকে ভারতে আসার জন্য ভিসা দেওয়া হবে, যদি ভারতে বসবাসকারী তাঁর আত্মীয় কিংবা ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের কেউ তাঁকে স্পনসর করে। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানি হিন্দুর সংখ্যা অনেকটাই কম, যাঁদের আত্মীয় কিংবা ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা ভারতে থাকেন। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, করাচির সোলজার বাজারের শ্রী পঞ্চমুখী হনুমান মন্দিরের এক সদস্য জানিয়েছেন, মন্দিরে শত শত মানুষের হাড় রাখা রয়েছে। যাঁরা রেখেছেন, সেইসব পরিবারগুলির আশা এইসব দেহাবশেষ গঙ্গায় বিসর্জন দেওয়া যাবে। এব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরে ভারতের হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনা চলছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি। এব্যাপারে তাঁরা বর্তমানে ভারত সরকারের সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত সুসংবাদ পেয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *