আমাদের ইচ্ছা আছে পুরো স্কুলই খুলে দেওয়ার, এমনটাই জানালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানালেন নবম-দ্বাদশের পর পরিস্থিতি দেখে ধাপে ধাপে নিচু শ্রেণীর জন্য স্কুল খুলবে বলেই। মূলত রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী রবিবার যোগ দিয়েছিলেন কলকাতার কলেজ স্কোয়ারে একটি অনুষ্ঠানে। সেখানে তিনি বলেন, আপাতত ক্লাস হবে নবম-দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত। এদিকে চালু হচ্ছে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়েরও ক্লাসও। এর পর বাকি নিচু শ্রেণির জন্যও স্কুল খুলবে করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে।

স্কুল খোলা নিয়ে ব্রাত্যবাবু এও বলেন, ‘‘ ছাত্রছাত্রীদের জীবনের মূল স্রোতে ফেরানোটাই আমাদের প্রাথমিক অভিপ্রায়। তাই সব ক্লাসই খুলব ধাপে ধাপে। আমরা এখন খুলছি নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খুলছি। এই অবস্থা কিছু দিন দেখে, নিচু ক্লাসও খুলব পরিস্থিতি দেখে নিয়ে।’’ শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্কুল, কলেজ খোলার কথা ঘোষণা করেছেন ১৬ নভেম্বর থেকে। সেই অনুযায়ী ফের শুরু করে দেওয়া হচ্ছে নবম থেকে উঁচু দিকে চারটি শ্রেণির পাঠ। পরিস্থিতি দেখে ধাপে ধাপে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে পরবর্তী কালে। ব্রাত্যবাবু বলেন, ‘‘ আমাদের ইচ্ছা আছে পুরো স্কুলই খুলে দেওয়ার।’’

উল্লেখ্য ,স্কুলের স্বাভাবিক পঠন-পাঠন দীর্ঘ দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ আছে করোনার কারণে। যদিও মাঝে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পঠন-পাঠন শুরু হয় কিছুদিনের জন্য। তবে তা ফের বন্ধ হয়ে যায় করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায়। এই মুহূর্তে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে করোনা পরিস্থিতি। ফলে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়। নবম-দ্বাদশ শ্রেণির জন্য স্কুল খুলতে চলেছে আগামী ১৬ নভেম্বর, মঙ্গলবার থেকেই। এদিকে রাজ্যের ভাবনা রয়েছে ধাপে ধাপে সব শ্রেণির ক্লাস শুরুর করারও। শিক্ষামন্ত্রী এও বলেন, ভবিষ্যতে সমস্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে করোনা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেই। সরকার পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে করোনা পরিস্থিতি দেখেই। পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠানো নিয়ে বিভ্রান্তি কাটাতে শিক্ষামন্ত্রী আগেই জানিয়েছেন, “স্কুলে আসা বাধ্যতামূলক নয়, বাবা-মা চাইলে তবেই পড়ুয়ারা স্কুলে যাবে। পড়ুয়াদের অ্যাটেনডেন্স সংক্রান্ত কোনও সমস্যাও হবে না সে ক্ষেত্রে ।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *