উদ্ধার হল দৃষ্টিহীন ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ , ফের কাঠগড়ায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক পড়ুয়া ও গবেষক

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ে না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের। এক দৃষ্টিহীন বিশেষ ভাবে সক্ষম ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে ব্যাপক তোলপাড় বিশ্ববিদ্যালয়। ওমেন হস্টেলের ওল্ড ব্লকে থাকতেন ওই ছাত্রী পরিবারের দাবি, ঘুমের ওষুধ খেয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ছাত্রী। এক্ষেত্রে পরিবার বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক পড়ুয়া ও গবেষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে । বন্ধুত্বের নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে দুজনের বিরুদ্ধে। শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারও করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীর বাড়ি জলপাইগুড়ির মালবাজারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলেই থাকতেন দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী। কিছুদিন আগে বাড়ি ফেরেন। গত ১৮ জানুয়ারি বাড়িতে নিজের ঘরেই ওই ছাত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। এরপর তাঁরা স্থানীয় থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশ তদন্তে ছাত্রীর ফোনের কল রেকর্ড খতিয়ে দেখে। সেখানেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্র ও গবেষকের নাম উঠে আসে। মৃত্যুর আগে ওই দুজনের সঙ্গে একাধিকবার কথা হয়েছে ছাত্রীর। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানোর প্রমাণ মিলেছে বলে অভিযোগ পরিবারের। এরপরই পরিবারের তরফ থেকে লিখিতভাবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযোগ করা হয়।

পরিবারের আরও অভিযোগ, বন্ধুত্বের নামে প্রতারণা করেছেন দুজন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুর বক্তব্য, “আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। তবে এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কতটা কী করার আছে, তা বলতে পারব না। যেহেতু যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটা ছাত্রীর বাড়িতেই ঘটেছে। ” এই নিয়ে সামনের সপ্তাহে বৈঠক করে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *