এক অতুলনীয় কীর্তি এই বিস্ময় বালকের! ঝুলিতে শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা অদম্য ইচ্ছাশক্তির জোরেই , ফের উজ্বল হল বাংলার মুখ

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বয়স মাত্র ১০। এই ছোট্ট বয়সেই তাকলাগানো প্রতিভায় অতুলনীয় কীর্তি ছুঁয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের এই বিস্ময় বালক। তার বেনজির প্রয়াসকে কুর্ণিশ জানিয়েছে বিভিন্ন মহল। এবার লন্ডন বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসেও জায়গা করে নিয়েছে চতুর্থ শ্রেণির এই পড়ুয়া। তার এমন কীর্তিতে পরিবারের সদস্যরা তো বটেই গর্বিত এলাকাবাসীও।

ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে টানা মাউথ অর্গান বাজিয়ে লন্ডন বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম তুলে ফেলেছে মহিষাদলের হরিখালি গ্রামের বিস্ময় বালক অভিনব মাল। তার বয়স মাত্র ১০ বছর। স্বাধীনতা সংগ্রামী সুশীলকুমার ধাড়া শিশু মন্দির স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র অভিনব। ৬ বছর বয়স থেকে মাউথ অর্গানের প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেছিল সে। বর্তমানে বাংলা ও হিন্দি মিলিয়ে প্রায় ১৫০টির মতো গানের সুর মাউথ অর্গানে বাজাতে পারে অভিনব। টানা ৭/৮ ঘন্টা মাউথ অর্গান বাজাতে পারে অভিনব।

এর আগে জেলাস্তরে এবং রাজ্যস্তরের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় পুরস্কার জিতেছে সে। এমনকী অনলাইন প্রতিযোগিতাতে অংশ নিয়েও একাধিক পুরস্কার ঝুলিতে পুরেছে অভিনব। এবার তার ঝুলিতে “লন্ডন বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস”-এর সম্মান। বুধবারই সেই সম্মান বাড়িতে পৌঁছেছে। বাড়ির ছেলের এমন কীর্তিতে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত পরিবারের লোকজন।

তার বাবা সুব্রত মাল প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক, মা সোনালী মাল তথ্য মিত্র দফতরের কর্মী। বাবা, মা ও দিদি সহ চারজনের সংসার অভিনবদের। ছোট থেকেই অভিনবের মাউথ অর্গান বাজানোর নেশা ছিল। সারাক্ষণ মাউথ অর্গান নিয়ে গান বাজানোর চেষ্টা করতো। তার পর স্থানীয় মাউথ অর্গান শিল্পী চয়ন চক্রবর্তীর কাছে প্রশিক্ষণের জন্য ভর্তি করা হয় তাকে।

তাঁর ছাত্রের এই কীর্তিতে বেজায় খুশি মাউথ অর্গান শিল্পী চয়ন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “ছাত্র ছাত্রীরা ভালো কিছু করলে শিক্ষকরা যেমন খুশি হয় তেমনই আমিও ভীষণ খুশি। প্রথম থেকেই অভিনবের মধ্যে ইচ্ছাশক্তি দেখেছিলাম। একটু দেখিয়ে দিলে দ্রুত যে কোনও গানের সুর বাজিয়ে ফেলে। তার এই সফল্যে খুব ভালো লাগছে। আগামী দিনে অভিনবকে দেখে অনেক প্রান্তিক এলাকার শিশুরা এগিয়ে আসবে। এটা আমার আশা।”

অন্যদিকে অভিনবর মা সোনালী মাল জানান, ছেলের এই সাফল্যে তিনিও ভীষণ খুশি। তাঁর কথায়, “আগামী দিনে ও আরও এগিয়ে যাক এটাই চাইব। ছোট থেকে প্লাস্টিকের বাঁশি বাজাতো। তাতে নানা ধরনের সুর শোনা যেতো। তারপর মাউথ অর্গান শেখার জন্য মাউথ অর্গান শিল্পীর কাছে প্রশিক্ষণের জন্য ভর্তি করি। আগামীদিনে পড়াশোনার পাশাপাশি মাউথ অর্গান বাজিয়ে এগিয়ে চলুক এটাই আমার প্রার্থনা।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *