এক ভয়ঙ্কর অভিযোগ PMO-এর বিরুদ্ধে, প্রধানমন্ত্রীর দফতরের পাল্টা জবাব গেহলটকে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ :‘মোদীজি, আমি আজ আপনাকে স্বাগত জানাতে পারব না’, গেহলটের ভয়ঙ্কর অভিযোগ ‘পিএমও’র বিরুদ্ধে। সামনেই রাজস্থান নির্বাচন। তার আগেই রাজ্যসফরে প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী গেহলট অগ্নিবীর প্রকল্প প্রত্যাহার করতে এবং সেনাবাহিনীতে স্থায়ী নিয়োগ অব্যাহত রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আবেদন করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ শেখাওয়াটি সফরে আসছেন। তিনি একই সঙ্গে সিকার থেকে দেশের নয় কোটি কৃষকের অ্যাকাউন্টে কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার টাকা হস্তান্তর করবেন। এর পরে তিনি একটি কিষাণ সভায় ভাষণ দেবেন এবং বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এর আগেই ট্যুইটারে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট পিএমওকে নিশানা করেছেন। তিনি দাবি করেছেন আজকের অনুষ্ঠানের নির্ধারিত ৩ মিনিটের তাঁর বক্তৃতার অংশ বাদ দেওয়া হয়েছে। অশোক গেহলট মোদীর রাজ্যসফরের মাঝে তাঁর সামনে দাবির একটি দীর্ঘ তালিকা তুলে ধরেছেন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অনুষ্ঠান থেকে তাঁর বক্তৃতার অংশ বাদ দিয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট লিখেছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, আজ আপনি রাজস্থান সফর করছেন। আপনার অফিস PMO আজকের অনুষ্ঠান থেকে আমার পূর্ব নির্ধারিত ৩ মিনিটের বক্তৃতার অংশ সরিয়ে দিয়েছে। এই কারণেই আমি আপনাকে বক্তৃতার মাধ্যমে স্বাগত জানাতে পারব না, তাই আমি এই টুইটের মাধ্যমে আপনাকে রাজস্থানে স্বাগত জানাচ্ছি’। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবির পালটা জবাব দিয়েছে পিএমও। পিএমও’র তরফে জানান হয়েছে, “প্রিয় গেহলট জি, প্রটোকল অনুসারে আমরা আপনাকে যথাযথভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। আপনার বক্তৃতার সময়ও নির্ধারিত করা হয়েছিল, কিন্তু আপনার দফতর জানিয়েছে যে আপনি উক্ত অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না’।

উলেখ্য ,প্রধানমন্ত্রী তার কর্মসূচিতে ১২টি মেডিকেল কলেজের উদ্বোধন করবেন। যার উপর গেহলট বলেছিলেন যে এই প্রকল্পে শুধু কেন্দ্র নয় রাজ্য সরকারও সমান ভাবে অংশীদার। কলেজগুলির মোট খরচের এক-তৃতীয়াংশ রাজ্য সরকার বহন করেছে। গেহলট লিখেছেন যে তিনি তাঁর বক্তৃতার মাধ্যমে যে দাবিগুলি রাখতে চলেছেন, তিনি এখন টুইটের মাধ্যমে সবার সামনে তুলে ধরছেন।

১. অগ্নিবীর প্রকল্প প্রত্যাহার এবং সেনাবাহিনীতে আগের মতো স্থায়ী নিয়োগ অব্যাহত রাখা।

২. রাজস্থানে জাতি শুমারির জন্য পাঠানো রেজুলিউশনের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অবিলম্বে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।

৩. রাজ্যের অর্থায়নে সম্পূর্ণরূপে তৈরি হওয়া মেডিকেল কলেজগুলিতে কেন্দ্রীয় সরকারেরও ৬০% তহবিল বরাদ্দ।

৪. রাজ্য সরকার সমস্ত সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে ২১ লক্ষ কৃষকের ১৫,০০০ কোটি টাকার ঋণ মকুব করেছে৷ রাজ্য সরকারের পাঠানো ব্যাঙ্কগুলির ঋণ মকুবের প্রস্তাব অনুমোদন করা।

৫. পূর্ব রাজস্থান খাল প্রকল্প (ERCP) কে জাতীয় গুরুত্বের একটি প্রকল্পের মর্যাদা দেওয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *