ক্রমশ অপমান করা হচ্ছে” “বাংলার গর্ব অমর্ত্য সেনকে, এবার বিশিষ্টজনেরা সরব হলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : এবার রাজ্যের বুদ্ধিজীবীদের একাংশ ও বিশ্বভারতী বাঁচাও কমিটি সরব হলেন বিশ্বভারতীয় উপাচার্যের কর্মকাণ্ড ও অমর্ত্য সেনকে অপমান করা নিয়ে।রবিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে বিশিষ্টজনরা সরব হন খোদ বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে ।

অমর্ত্য সেনের জমি বিতর্ক নিয়ে অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকারএও বলেন, একবারও যাইনি বিশ্বভারতীতে নতুন উপাচার্য আসার পর থেকে । অমর্ত্য সেন অত্যন্ত মাননীয় ব্যক্তি এটা বলার অপেক্ষা কোনো রাখে না। অমর্ত্য সেন যখন বলছেন ওই জমি ওঁরই তখন সেই কথাই যথেষ্ট। অমর্ত্য সেন যে নোবেল পেয়েছেন উপাচার্য তাও মেনে নিতে রাজী নন। অর্থনীতিতে প্রতিথযশা যাঁরা ওই পুরস্কার পেয়েছেন। এটাকে যদি নোবেল পেয়ে না থাকেন তাহলে নোবেল কোনটা। এনিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনও কথা হয় না। উপাচার্যের একথা না জানার কথা নয়। উপাচার্য যা করছেন তার পেছনে তাঁর ব্যক্তিগত লাভ রয়েছে। এই উপাচার্যের থাকার কোনও যুক্তি নেই। বিশ্বভারতীর জমি আটকে রেখেছেন অমর্ত্য সেন। এই মর্মে একাধিক চিঠি অমর্ত্য সেনকে পাঠিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।

অমর্ত্য সেনকে তাঁর জমির নথি তাঁর হাতে তুলে দিয়ে এসেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু তার পরেও পিছু হঠতে রাজী নন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুত্ চক্রবর্তী। এনিয়ে এদিন মনোজ মিত্র এও বলেন, কোনও বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে এত হতাশ হতে দেখিনি। এই উপাচার্য যা ইচ্ছে তাই বলেন। কাউকে বসতে বলেন না। ওঁর আচরণ অত্যন্ত খারাপ। একটা এক নায়কতন্ত্রের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিদ্যুত্ চক্রবর্তীর কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সরব হয় চিত্রকর শুভাপ্রসন্ন। এদিন তিনি বলেন, যখন কোনও দুঃসময় দেখা যায় তখনই আমরা আপনাদের সম্মুখীন হই। কেন রবীন্দ্রনাথের কর্মক্ষেত্রে অপমান করা হচ্ছে বিশিষ্ট মানুষদের। তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা হচ্ছে! যিনি নোবেল পেয়েছেন তাঁকে চরম অপমান করা হচ্ছে। কোন ভোল্টের কারেন্ট ওঁর শরীরে রয়েছে। আমরা সমবেতভাবে শান্তি নিকেতন যাব। অনশন করব।

বিশিষ্ট গায়ক প্রতুল মুখোপাধ্যায় এদিন আরো বলেন, সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় অমর্ত্য সেন পক্ষপাতী ছিলেন না। সেই সময় উনি ছিলেন বামপন্থীদের নয়নের মনি । কিন্তু মমতার প্রধানমন্ত্রী হবার যোগ্যতা আছে এই কথাটা বলার জন্য নাকি কমে গিয়েছে তার মান! অমর্ত্য সেনকে অপমান করা হচ্ছে। আমরা তো একটা পদযাত্রা আশা করেছিলাম। বাংলা তো কই ফুঁসে উঠল না! উপাচার্য তল্পিবাহক অনুচর মাত্র। ওঁকে করুনা করুন। যিনি বাংলার গর্ব তাঁকে অপমান করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *