ক্রমাগত অ্যাকাউন্ট খোলা হচ্ছে জালিয়াতি করে , সত্যিই কি তা অজানা থেকে যায় ব্যাংকের কাছে ? উঠছে প্রশ্ন

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : গ্রাহক ব্যাঙ্কে গেলেন না, কোনও সই করলেন না, আর খোলা হয়ে গেল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট! ঠিক এমনটাই হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষে। শতাধিক মানুষের দাবি, তাঁদের অজান্তেই তাঁদের নামে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছে এটিএম কার্ডও। শুধু তাই নয়, ওই সব অ্যাকাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে। কে করল, কেন করল, সে তো পরের প্রশ্ন, সবার আগে প্রশ্ন উঠছে ব্যাঙ্ক কি সত্যিই ঘুণাক্ষরেও জানতে পারলেন না? এমনটা কি সম্ভব?

একটা অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলে কী কী প্রয়োজন হয়, তা মোটামুটি সবারই কম-বেশি জানা। পরিচয়পত্র, প্যান কার্ড, ছবি নিয়ে যেতে হয় ব্যাঙ্কে। অনলাইনে অ্যাকাউন্ট খুললেও এগুলো বাধ্যতামূলক। শুধু তাই নয়, গ্রাহকের সইও বাধ্যতামূলক। নথি যদি কেউ কোনওভাবে সংগ্রহ করেও থাকেন, সই তো আর সংগ্রহ করে জমা দেওয়া সম্ভব নয়। তার জন্য তো সশরীরে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে।

খণ্ডঘোষের ঘটনার ক্ষেত্রে যে বেসরকারি ব্যাঙ্কের নাম সামনে এসেছে, তাদের গ্রাহক সংখ্যা নেহাত কম নয়। বিশেষজ্ঞরাও বিস্ময় প্রকাশ করছেন, এটা ভেবে যে কোনও দিন আবেদন করা হল না অথচ অ্যাকাউন্ট খুলে গেল কীভাবে! এ যেন কল্পনার অতীত। তাও আবার কয়েক বছর ধরে লেনদেনও হল সবার অজান্তে।

বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলছেন, এ ক্ষেত্রে যাঁদের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছে, তাঁদের হয়ত সবার প্যান কার্ড নেই, বা থাকলেও আইটিআর ফাইল করেন কি না সন্দেহ রয়েছে। সে ক্ষেত্রে এত লক্ষ টাকার লেনদেন করা যায় না। তাই ফাঁক প্রচুর আছে বলেই মনে করা হচ্ছে। ব্যাঙ্ক কর্মীরা এর সঙ্গে যুক্ত না থাকলে এমনটা সম্ভব নয় বলেও উল্লেখ করছেন কেউ কেউ। বর্তমানে প্রযুক্তির যক্তে প্রত্যেক গ্রাহকের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংরক্ষিত থাকে। এমনকী কেউ কারও অ্যাকাউন্ট অপব্যবহার করলেও আইপি অ্যাড্রেস দিয়ে সেটা ধরে ফেলা যায়। তাই ধরা না পড়ার কোনও উপায় নেই বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *