চাকরির সন্ধান অনলাইন কনসালটেন্সিতে, প্রতারিত উত্তরপাড়ার যুবক, খোয়া গেলো প্রায় দেড় লক্ষ টাকা

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : হুগলির উত্তরপাড়ার এক যুবক প্রতারিত হল অনলাইন কনসালটেন্সির মাধ্যমে চাকরি পেতে গিয়ে।এমনকি তাঁর খোয়াও গিয়েছে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা। এও জানা গিয়েছে, প্রতারিত যুবক অভিযোগ দায়ের করেছেন চন্দননগর কমিশনারেটের সাইবার সেলে।

জানা গেছে , উত্তরপাড়া ভদ্রকালীর বাসিন্দা সপ্তর্ষি সামন্ত একটি বেসরকারি সংস্থায় সফটওয়্যার প্রোজেক্টে কাজ করতেন। এমনকি তিনি ওয়ার্ক ফ্রম হোম পদ্ধতিতেই কাজ করছিলেন লকডাউন পর্ব শুরুর থেকে। তবে সূত্রের খবর,লকডাউন এর জেরে তাঁর চাকরিও খোয়া গিয়েছিল। এরপরেই সপ্তর্ষি খুঁজতে শুরু করেন নতুন চাকরি। এমনকি দিন কয়েক আগে তিনি নিজের সিভি অর্থাৎ বায়োডেটা এবং অন্যান্য বিস্তারিত বিবরণ-সহ প্রোফাইল আপলোড করেন একটি অনলাইন কনসালটেন্সির মাধ্যমে। এমনকি ইন্টাভিউও নেওয়া হয় অনলাইনেই। সপ্তর্ষিকে বেছে নেওয়া হয় এমনকি নতুন চাকরির জন্য। রেজিস্ট্রেশন, পুলিশ ভেরিফিকেশন তাঁর থেকে এমনকি টাকাও নেওয়া হয় সবকিছুর খরচ বাবদও। এছাড়াও রশিদও দেওয়া হয় তার পরিবর্তেও। অনলাইনে চলছিলএই সমস্ত কাজই।

এরপর সপ্তর্ষিকে অফার লেটার পাঠানো হয় ই-মেলের মাধ্যমে। ওই অনলাইন কনসালটেন্সি সংস্থার তরফে এও বলা হয় তৈরি করতে হবে একটি এমপ্লয়ি আইডিও। যার জন্য দিতে হবে এককালীন ১ লক্ষ ৪৯ হাজার টাকা। তবে এই টাকা সপ্তর্ষিকে ফেরত দেওয়া হবে। তিনি টাকা ফেরত পেয়ে যাবেন এমনকি চাকরিতে যোগ দেওয়ার পরেই। একে করোনা আবহে বেহাল দশা দেশে অর্থনীতির। তার মধ্যে চাকরি গিয়েছে দীর্ঘ লকডাউনের জেরে। সপ্তর্ষিও পুরো টাকাই ট্রান্সফার করে দেন নতুন ভাল কিছুর আশায় একপ্রকার মরিয়া হয়েই। সমস্যা শুরু হয় ঠিক এর পরেই। টাকা ফেরত তো কোনো ভাবেই আসেনি। উল্টে কোনও রকম ভাবেই যোগাযোগ করা যাচ্ছে না ওই অনলাইন কনসালটেন্সি কিংবা যে কোম্পানিতে তিনি যোগ দিয়েছেন সেখানকার সঙ্গেও। যে ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছিল কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না এমনকি সেখানেও।

এত কিছুর পর সপ্তর্ষিও বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন। তাঁর সন্দেহ হয়েছিল আগেও একবার। তবে এভাবে যে কোনও প্রতারণা চক্রে ফেঁসে যাচ্ছেন সপ্তর্ষি সেটা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি। আপাতত সপ্তর্ষি অভিযোগ জানিয়েছেন উত্তরপাড়া থানা চন্দননগর কমিশনারেটের সাইবার সেলে। এই ঘটনায় কারা যুক্ত পুলিশ তাদের খোঁজ চালাচ্ছে। যদিও এখনও ধরা যায়নি কাউকেই। টাকাও ফেরত আসেনি। সাইবার সেল রেকর্ড করেছে প্রতারণার শিকার সপ্তর্ষির বয়ান। খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাঁর বলা সমস্ত কথা এবং সব সম্ভাবনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *