তবে কি তাজপুর বন্দর যাচ্ছে আদানির হাতেই ? জোর জলঘোলা শশী পাজার মন্তব্যে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : আদানি গোষ্ঠীর সংস্থার হাত ধরেই তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরি হওয়ার বিষয়টা মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। বার কয়েক নবান্নে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন শিল্পপতি গৌতম আদানি। সব ঠিক থাকলে ২০২৫ সালের মধ্যে বন্দরের কাজ হবে, এমনটাও শোনা গিয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাতেই তৈরি হয় ধোঁয়াশা। বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে তিনি ওই বন্দর তৈরির দরপত্র দেওয়ার আহ্বান জানান মমতা। তখনই প্রশ্ন ওঠে, তবে কি আদানিরা সরে দাঁড়িয়েছেন ওই প্রকল্প থেকে? অবশেষে সেই প্রশ্নের উত্তর দিলেন রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যান মন্ত্রী শশী পাঁজা।

সম্প্রতি দিল্লিতে এই বন্দর নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে শশী পাঁজা জানান, আদানিদের সঙ্গে কথা চলছে রাজ্য সরকারের। বন্দর তৈরির ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক মন্ত্রকের ছাড়পত্র পাওয়া গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন শশী পাঁজা। ছাড়পত্র দিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে আদানি গোষ্ঠীকে তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরির বরাত দিয়েছিল মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় সরকার। আদানি গোষ্ঠীকে ইচ্ছাপত্রও দেওয়া হয়েছিল সরকারের তরফে। তাজপুরে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করার কথা ছিল আদানি গোষ্ঠীর।

এদিকে, কিছুদিন আগেই আদানিদের বিরুদ্ধে তোলা প্রশ্ন নিয়ে বিতর্কে মুখে পড়েন সাংসদ মহুয়া মৈত্র। অভিযোগ, লোকসভায় ওই প্রশ্ন করার জন্যস ঘুষ নিয়েছিলেন তিনি। এই ইস্যুতে বিতর্ক গড়ায় অনেক দূর। এথিক্স কমিটিতেও প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় মহুয়াকে। তারই মাঝে মমতার মন্তব্য জল্পনা বাড়িয়েছিল অনেক গুণ। তবে, শশী পাঁজা স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছেন, উন্নয়ন নিয়ে কোনও রাজনীতি চায় না তৃণমূল সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *