তুমুল প্রতিবাদ পোর্ট ট্রাস্টের হাসপাতাল বেসরকারিকরণের, চরম আশঙ্কায় কর্মীরা

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : প্রতিবাদ পোর্ট ট্রাস্ট হসপিটাল বেসরকারিকরণের।আর এই প্রতিবাদে সামিল হল বেশিভাগ অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরাই । তাঁদের মতে, তাঁরা এই পোর্ট ট্রাস্টকে দিয়েছেন তাঁদের কর্মজীবনের মূল্যবান সময়। আর তাঁদের এই প্রতিবাদ জীবনের শেষ সময়ে চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কায়। শেষ সময়ে তাঁরা কোথায় যাবেন, এই প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে। এমনকি তাঁরা ভরসা রাখতে পারছেন না বেসরকারিকরণের ফলে উন্নতমানের চিকিৎসা পরিষেবার প্রতিশ্রুতিতেও । এই মুহূর্তে যে পরিষেবা তাঁরা পাচ্ছেন, তাঁরা তাতেই খুশি। হাসপাতাল বেসরকারিকরণ হলে তাঁরা সেইভাবে চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। অন্যদিকে, ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসক, নার্স, চুক্তিভিত্তিক নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও নন-টেকনিক্যাল কর্মীরাও । এঁরা প্রত্যেকেই ভুগছেন চাকরির অনিশ্চিয়তায়।

একসময় তাঁরা অবদান রেখেছিলেন নিজেদের একদিনের বেতন দিয়ে শতবার্ষিকী কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট হাসপাতাল তৈরি করার ক্ষেত্রে। আর সেই কলকাতা পোর্ট হাসপাতাল বা সেন্টিনারি হসপিটাল এবার অবশেষে হাঁটতে চলেছে বেসরকারিকরণের পথে। ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই হাসপাতাল। এই হাসপাতাল গড়ে তোলা হয় কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের অধীনস্থ সমস্ত শ্রেণির কর্মী ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মী এবং তাঁদের পরিবারের উপর নির্ভরশীলদের চিকিৎসার উদ্দেশ্যে। বর্তমানে lSO সার্টিফায়েড এই হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা ১০৪টি। আইসিসিইউ এবং ওটি সহ অত্যাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে এখানে।

আচমকা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নেয় যে বেসরকারিকরণ করা হবে শতবার্ষিকী এই হাসপাতালের। উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ করে পরিচালনা করার খবর ছড়িয়ে পড়তেই। স্থানীয় তৃণমূল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত দে-র অভিযোগ, করোনার সময় যে জাহাজ মন্ত্রক ভালো কাজের জন্য পুরস্কৃত করেছে যে হাসপাতালকে, সেই মন্ত্রকই নিজের লাভের জন্য সেই হাসপাতালেকে পুঁজিপতিদের হতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে।

এদিন কর্মীরা বিক্ষোভ দেখান মাঝেরহাট ব্রিজ সংলগ্ন কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট হাসপাতালের গেটের বাইরে । তাঁদের দাবি, এই যে অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে বেসরকারিকরণ করার এই সিদ্ধান্তকে । না হলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *