পেট্রাপোল বন্দরে রপ্তানী বানিজ্য বন্ধ এখনও, অবরোধ, অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হল বিজিটিএ কর্মীদের একাংশ

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : গত ২ ধরে বন্ধ পেট্রাপোল বন্দরের রপ্তানী বানিজ্য। এশিয়ার বৃহত্তম স্থল বন্দর পেট্রাপোল সীমান্তে রপ্তানী বানিজ্য অনির্দিষ্ঠ কালের জন্য বন্ধ রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁর পরিবহন সংগঠনের আন্দোলনের জেরে । বনগাঁ পরিবহন সংগঠনের আরও দাবি, এতদিন ধরে পেট্রাপোল পার্কিং এলাকায় কোনো বাঁধা ছিলনা পরিবহন সংস্থার কর্মীদের প্রবেশের উপর। কিন্তু হঠাৎ করে পরিবহন সংস্থার কর্মীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বনগাঁ পরিবহন সংস্থার কর্মীরা এই আন্দোলনে সামিল হয়েছেন তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েই। এমনকি অবস্থান বিক্ষোভও চলে পেট্রাপোল পার্কিং চত্বরে প্রবেশ পথে রাস্তা অবরোধ করে।

উল্লেখ্য, প্রথমে বনগাঁ পৌরসভার মিলন পল্লি পার্কিং এ নথি ভুক্ত করতে হয় কোনো পন্যবাহী গাড়িকে পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে রপ্তানীর আগে। তারপর সেই নথি ভুক্ত অনুযায়ী নাম্বার বিশেষে পেট্রাপোলের পার্কিং এ প্রবেশ করার অনুমতি মেলে কখনও ১৫ দিন আবার কখনও ২৫ দিনের ব্যাবধানে। প্রবেশ করে সেখানে শুল্ক দপ্তরের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করে অনুমতি নেওয়ার পরেই সীমান্তরক্ষী বাহিনী (BSF) বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দেন। পরিবহন সংস্থার প্রতিনিধিরাও কাজ করতে কিছুটা সাহায্য করেন। পার্কিং এ প্রবেশের জন্য কোনো পন্যবাহী গাড়ি বনগাঁ গুডস ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের (BGTA) পরিচয়পত্র নিয়ে পার্কিং এলাকায় প্রবেশ করতেন।

কিন্তু হঠাৎ করেই গত শনিবার থেকে সীমান্তরক্ষী বাহিনী কর্মীদের প্রবেশে বাঁধা দিচ্ছে দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে। বিএসএফের দাবি, তারা এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের (LPI) নির্দেশে। আর তারই জেরেই অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয় বনগাঁ পরিবহন সংস্থার কর্মীরা।এমনকি কোনো সুরাহা মেলেনি একাধিক বার আলোচনা করেও। সোমবার সকাল থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারেনি কোনো পন্যবাহী গাড়ি।এদিকে পরিবহন সংস্থার সকল কর্মীরা জানিয়েছেন এই ‌সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত রপ্তানী বানিজ্য বন্ধ থাকবে বলেও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *