ফের সংকট, আলুতে ‘আগুন’ লাগতে পারে এবারের শীতে , চরম ঘাটতির আশঙ্কা তৈরি হতে পারে এমনকি বাজারেও

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : আলু ব্যবসায়ীদের একাংশের কর্ম বিরতির ঘোষণায় বাঙালির পাতে মহার্ঘ হতে চলেছে আলু! দুশ্চিন্তা বেড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা, গড়বেতা, দাসপুর কোল্ডস্টোরেজ মালিকের। পাইকারির ব্যবসায়ীদের একাংশও প্রহর গুনছেন। চলতি বছরে আলুর দাম সেভাবে না মেলায়, বেশি দাম পাওয়ার আশায় বহু কৃষক এবং সংরক্ষণকারীরা এখনও পর্যন্ত হিমঘর থেকে আলু বের করেননি। এমন পরিস্থিতিতে আলু সংরক্ষণের সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গে বাড়ানো হয়েছে হিমঘরের ভাড়া কুইন্টাল পিছু ১৮.৬৬ পয়সা ও উত্তরবঙ্গে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে ১৯.১১ পয়সা। আরই এরই প্রতিবাদে ৬ ও ৭ ডিসেম্বর কর্মবিরতি ডাক দিয়েছে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি। তাঁদের এক সদস্যের মতে, “ব্যবসা সমিতির রাজ্য নেতৃত্বের হাতে কোনও আলু নেই। তারা ৯.৩৩ পয়সা বাড়িয়েছে। আমরা এটা মানব না। ব্যবসার আসল টাকাই ঘরে এসেছে, এই এক মাস হল, লাভ তো দূরের কথা। ”

এই কর্ম বিরতির ডাক দেওয়ার ফলে বাজারে আলুর ঘাটতি দেখা দেবে আশঙ্কা বিভিন্ন বাজারে আলু ব্রিক্রেতা থেকে ব্যবসায়ীদের। ফলে বাঙালির পাতে মহার্ঘ হতে চলেছে আলু। আর এই কর্ম বিরতির ফলে দুশ্চিন্তা বেড়েছে ব্যবসায়ী থেকে হিমঘর মালিকদের। তাঁদের দাবি, অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছরের আলুর বাজার দর কখনও একটু বাড়া, তো কখনও কমে যাওয়ায় কারণে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কোল্ডস্টোর গুলিতে শতকরা হিসাবে এখনও ১২ থেকে ১৪ শতাংশ মজুত আলু রয়েছে।

আর সেই আলু সময়মতো না বার করতে পারলে সমস্যায় পড়বেন হিমঘর মালিক থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা। হিমঘর মালিক বলেন. “ মার্চ মাস থেকে লোডিং শুরু হয়। নভেম্বরে হিমঘরে আলু রাখার মেয়াদ শেষ হয়। ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য আমাদের অনুমতি চেতে হয় রাজ্য সরকারের কাছে। শ্রমিকদের মজুরি দিতে হয়, সঙ্গে বিদ্যুতের বিল, তেলের দাম, সেক্ষেত্রে আমাদের ভাড়া না বাড়লে সমস্যা হবে। ব্যবসায়ী সমিতি আলু না বার করলে, চাহিদা তৈরি হবে বাজারে। তখনই দাম বাড়বে।”

কারণ অন্য রাজ্যের কাঁচা আলু ইতিমধ্যে বাজারে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। তাই জেলার অধিকাংশ ব্যবসায়ীরাও চাইছেন, এই কর্ম বিরতি না হোক। এখন দেখার এই কর্ম বিরতি থেকে বিরত হয় আলু ব্যবসায়ী সমিতি না কর্মবিরতি চলে। সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন বেশিরভাগ ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে হিমঘর মালিক সংগঠনগুলি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *