বাবা মাছ বিক্রি করেন বাড়ি বাড়ি ঘুরে, ডাক্তারি পরীক্ষায় চমক দেখালেন ছেলে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : বাবা মাছ বিক্রি করেন বাড়ি বাড়ি ঘুরে । এমনকি তাদের চরম টানাটানির সংসার। কিন্তু, হাওড়ার রিভু ভক্তা সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা নিটে নজরকাড়া ফল করেছেন মেধা এবং অক্লান্ত পরিশ্রমের জোরেই। এবারের নিট পরীক্ষায় ৭২০-র মধ্যে পেয়েছেন ৫৯২ নম্বর শ্যামপুরের রাজীবপুর গ্রামের তরুণ রিভু। এমনকি রিভুর ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ছিল সেই ছোট বেলা থেকেই। অবশেষে তার সেই স্বপ্নপূরণের দৌড় শুরু হয় শ্যামপুর হাই স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৮৪ নম্বর পেয়ে।

এছাড়াও রিভু কোচিংয়ের সুবিধা নিতে পারেননি বিপুল টাকার অভাবে। তা হলে কি করে সাফল্য এল বর্তমান সময়ে? তাঁর কথায়, ‘‘আমি বন্ধুদের মুখে শুনেছি, অনেক টাকা লাগে কোচিং নিতে। তাই নিজেই পড়াশোনা করতাম ইউটিউব দেখে। মন দিয়ে পড়তাম এমনকি উচ্চ মাধ্যমিকের বইগুলোও। আর তাতেই সুযোগ পেয়েছি ডাক্তারি পড়ার ।’’

এদিকে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে রিভুর ছোট বোন সুকন্যা। এবং স্ত্রী মমতাকে নিয়ে সংসার লক্ষ্মীকান্ত ভক্তার। সংসারে হাজার অনটন থাকলেও বাবা লক্ষ্মীকান্ত ভক্তা ও মা মমতা সবসময় নজর দেন ছেলেমেয়ের পড়াশোনোর প্রতি। লক্ষ্মীকান্তবাবু বলেন , ‘‘ভোর তিনটেয় উঠে আড়তে যাই মাছ বিক্রি করতে। দুপুর পর্যন্ত মাছ বিক্রি করি বাড়ি বাড়ি ঘুরেই। সংসার চলে কোনও রকমে। ছেলে ডাক্তার হবে আনন্দ হচ্ছে এ কথা জেনেই।’’

এদিকে রিভুর নিজের গ্রামে কোনও ডাক্তার নেই। এমনকি দূরে যেতে হয় ডাক্তার দেখাতে গেলেও। রিভুকে ঘিরে স্বপ্ন দেখছেন এমনকি গ্রামের মানুষও। মেধা ও অধ্যবসায়ে শুধু নিজেদের পরিবারকে নয়, গোটা গ্রামকেই রিভু গর্বিত করেছেন। স্টেথোস্কোপ ঝুলবে ঘরের ছেলের গলায় , ভেবেই আনন্দে মাতোয়ারা এমনকি রিভুর পরিবারও ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *