সোশ্যাল মিডিয়ায় অস্ত্রের কারবার রীতিমতো গ্রুপ খুলে! পুলিশের জালে ধৃত ১

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : অস্ত্র কেনাবেচার কারবার চলছিল সামাজিক মাধ্যমে রীতিমতো ‘গ্রুপ’ খুলে। সেখানেই দাম-দর ঠিক হত অস্ত্র দেখিয়েই। সে সব নির্দিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছে যেত তার পরেই। এই কারবার চলছিল এমনকি দীর্ঘ দিন ধরেই। অবশেষে মানিকতলা থানার পুলিশ সূত্র মারফত খবর পেয়ে গ্রেফতার করল এই চক্রের এক কারবারিকে। ধৃতের নাম কিষাণ জয়সোয়ারা। পুলিশ একটি বন্দুক ও গুলি উদ্ধার করেছে ধৃতের কাছ থেকে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় গাড়ির চালক হরিশ নিয়োগী রোডের বাসিন্দা কিষাণ। গাড়ি চালানোর পাশাপাশি সে রীতিমতো অস্ত্র বিক্রি করত দুষ্কৃতীদের কাছেও। পুলিশের আরও দাবি বছর চব্বিশের কিষাণের অপরাধ জগতে অবাধ যাতায়াত ছিল বলেও। বেশ কয়েক দিন আগেই মানিকতলা থানার পুলিশ দু’হাতে দু’টি বন্দুক-সহ এক যুবকের ছবি পায়। যদিও সেই ছবিতে ছিল না ওই যুবকের মুখের অংশটি। এমনকি পুলিশ ওই যুবকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে এক হাতে একটি ঘড়ি ও জামা দেখেই। আর এর পরেই শনিবার তদন্তকারীরা ওই যুবকের সন্ধান পান। যদিও প্রথমে ওই যুবক স্বীকার করতে চায়নি আগ্নেয়াস্ত্র রাখার কথা। পরে মানিকতলা থানার পুলিশ তার বাড়িতে বিশেষ তল্লাশি চালায় । সেখান থেকে ঘড়ি ও জামার পাশাপাশি একটি বন্দুক এবং গুলিও উদ্ধার হয়।

পুলিশের দাবি, এর পরে অভিযুক্তকে জেরা করলে সে অভিযোগ স্বীকার করে নেয়। শনিবার রাতেই তাকেমানিকতলা থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। জেরার সময়ে আরও একটি বন্দুকের খোঁজ করতে সে জানায় ভাটপাড়ায় তার এক বন্ধুর বাড়িতে সেটি রাখা আছে বলেও। শনিবার রাতেই সেটির খোঁজে পুলিশ ভাটপাড়া থানা এলাকায় অভিযান চালায় । যদিও কোনো নাগাল পাওয়া যায়নি সেই যুবকের । পুলিশ এও জানতে পেরেছে ভাটপাড়ার ওই যুবকের বিরুদ্ধে একাধিক খুনের অভিযোগ রয়েছে বলেও। তল্লাশি চালানো হচ্ছে তার খোঁজেও।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক সামাজিক মাধ্যমে তৈরি করা ওই গ্রুপে নিয়ম করে অস্ত্রের ছবি দিত। পুলিশ সূত্রে আরো খবর সেই গ্রুপে শহর এবং শহরতলির দুষ্কৃতীরা ছাড়াও জেলার একাধিক কুখ্যাত দুষ্কৃতীরা ছিল বলেই। অস্ত্রের কেনাবেচা চলত সেখানেই। তবে ধৃতের পরিবারের দাবি, কিষাণকে ফাঁসানো হয়েছে। ধৃত যুবককে রবিবার শিয়ালদহ আদালতে তোলা হয়। সেখানেই সরকারি আইনজীবী আবেদন করেন ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের। বিচারক পুলিশি হেফাজত দিয়েছন ৫ তারিখ পর্যন্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *