১৭ টি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যহীন রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের আবহে, প্রশ্নের মুখে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত নানা ইস্যুতে অব্যহত। তার মধ্যে একটি উপাচার্য নিয়োগ। তা নিয়ে নানা জলঘোলা। বর্তমানে ১৭ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যহীন, কার্যত প্রশ্নের মুখে উচ্চশিক্ষাব্যবস্থা। পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে এমনিতেই তপ্ত বাংলা। রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের একাধিক বিষয়ে মতানৈক তৈরি হচ্ছে। শিক্ষাব্যবস্থা নিয়েও রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান ও প্রশাসনিক প্রধানের মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগেই রয়েছে। প্রভাব পড়ছে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রেও। রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাতের শুরু একটি ইস্যু নিয়েই। উপাচার্যহীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে রাজ্যপালের অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়ে। রাজ্যের ১১ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেন আচার্য সিভি আনন্দ বোস। আর তারপরই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু অভিযোগ করেন, নিয়ম মেনে সেই নিয়োগ হয়নি। উচ্চ শিক্ষা দফতরের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনাও হয়নি বলে অভিযোগ। রাজ্য রাজ্যপাল সংঘাতের জেরে রবীন্দ্রভারতীতে স্নাতকের চূড়ান্ত সেমিস্টারের ফলাফলই আটকে গিয়েছে। ঘোর চিন্তায় অধ্যাপকরা।

এ প্রসঙ্গে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত দাস বলেন, “যে সেমিস্টারের রেজাল্ট বার করা যাচ্ছে না, তাতে দেরি হলে দেশের প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পড়ুয়ারা স্নাতকোত্তর করার জন্য সুযোগ পাবে না। ফলে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যেই একটা বৈষম্য তৈরি হবে।”

একই হাল প্রেসিডেন্সি-সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেও। স্থায়ী উপাচার্য নেই যাদবপুরেও। সেখানকার অধ্যাপকরাও ক্ষুব্ধ। জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “স্থায়ী উপাচার্যের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রিসার্চের বিভিন্ন কাজ, দৈনন্দিন হাজার একটা ইস্যু রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ডের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। সবই আটকে যাচ্ছে স্থায়ী উপাচার্য না থাকলে।”এতো গেল পড়ুয়াদের কথা, উপাচার্য না থাকায় আটকে যাচ্ছে অধ্যাপকদের প্রোমোশন-সহ নানাবিধ প্রশাসনিক কাজও। রাজ্য-রাজ্যপালের সংঘাতের মাঝে চিন্তায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *