সাবধান হন কালকেউটে থেকে ! জানেন কী এর মারাত্মক বিষে কী হতে পারে ?

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : বিষধর কালকেউটে সাপকে প্রায়ই দেখতে পাওয়া যায় গ্রাম বাংলার মাছ ধরার জালে কিংবা জমির আশেপাশে। স্বাভাবিকভাবেই মানুষের মনে আতঙ্ক গ্রাস করে। বিষাক্ত হওয়ার কারণে বিনা দোষে এদের বেঘোরে প্রাণ যায় অনেক সময়। কিন্তু আপনি কোনো টের পাবেন না কাল কেউটে যদি আপনাকে অসতর্কতা বশত ছোবল দেয়। এমনকি কাল কেউটে স্থান করে নিয়েছে বাংলায় বিষাক্ত সাপ গুলির মধ্যে। এছাড়াও এই সাপের বিষ বেশিক্ষণ সময় নেয় না দ্রুত কিডনি এবং মস্তিষ্ক বিকল করতে। এমনকি ব্যক্তির মৃত্যুও পর্যন্ত ঘটতে পারে তড়িঘড়ি চিকিত্‍সা শুরু না হলে।

বর্তমানে কালকেউটে একটি বিরল প্রজাতির সাপ, চাষের জমির আশেপাশে কিংবা বন জঙ্গল ছাড়া এদেরকে দেখা যায় না। এরা হয় অত্যন্ত শান্ত প্রকৃতির। সহজে কাউকে দংশন করে না আঘাত না পেলে।সাধারণত এদের খাদ্য হল ছোট ছোট সাপ, ব্যাঙ, ইঁদুর, টিকটিকি প্রভৃতি। খাবারের খোঁজে গ্রামাঞ্চলে ঢুকে পড়ে মাঝে মাঝে।

কালকেউটের বসবাস কোথায় ?

এরা সাধারণত লুকিয়ে থাকে পুরনো ভাঙাচোরা বাড়ি, খোলা মাঠ, ইঁদুরের গর্ত, ইটের স্তুপ, চাষ করার জমির নিচে। মাঝে মাঝে বোঝা যায় না কালকেউটে কামড়ালেও। আবার অনেক সময় অনুভব হয় সামান্য ব্যথা কিংবা চুলকানিও। এই সাপের বিষ বেশ কয়েক ঘণ্টা সময় নেয় এমনকি মানুষের শরীরে প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে। তাই যদি রাত্রে কামড়ায় তাহলে নানান উপসর্গ দেখা দিতে থাকে সকালের মধ্যেই।

• দংশনের পর উপসর্গ : খাবার সময় রোগী ঢোক গিলতে ব্যথা পায় কিংবা বমি হয়। হাত পা অবশ হয়ে আসতে থাকে ধীরে ধীরে। ব্যথা অনুভব হয় এমনকি পেটে এবং মাংসপেশিতেও। অনেকের আবার কাঁপুনি শুরু হয় সারা শরীর জুড়েও । মস্তিষ্ক এবং মাংসপেশি ধীরে ধীরে অসাড় হয়ে যাবে এবং কিডনি সম্পূর্ণরূপে বিকল হয়ে পড়বে দ্রুত চিকিত্‍সা শুরু না হলে। ব্যক্তির মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে সঠিক সময়ে চিকিত্‍সা শুরু না হলে। এরকম অনেকবার হয়েছে যে কালকেউটের কামড়ে অনেকে সুস্থ হয়ে যাওয়ার পরেও নানান শারীরিক জটিল সমস্যা দেখা দিয়েছে।

• কী করতে হবে দংশন করলে?

কালকেউটে কামড়ালে একদম কাটাছেঁড়া করা যাবে না সেই স্থানে। অনেকেই দংশনের স্থান ব্লেড দিয়ে চিরে দেন ভ্রান্ত ধারণা অনুযায়ী। তড়িঘড়ি চিকিত্‍সা কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে এসব না করে। চিকিত্‍সা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার সময় রোগীকে নিয়ে যাওয়া উচিত কাত করে। কারণ বিষক্রিয়ার ফলে আশঙ্কা থাকে বমি হওয়ারও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *