এক কথায় নজিরবিহীন, ভিডিও কলেই হল কলকাতায় প্রতিবন্ধী শংসাপত্রের জন্য মেডিক্যাল পরীক্ষা

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : চিন্তায় একরকম ঘুম ছুটে গিয়েছিল বাঁশদ্রোণীর বাসিন্দা দেবাশিস ঘোষ ও মৌমিতা ঘোষের। স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রপিতে আক্রান্ত ওঁদের একমাত্র মেয়ে দেবস্মিতা। প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট এর জন্য ওকে টালিগঞ্জের এমআর বাঙুর হাসপাতালে যেতে হবে, যেখানে কি না চিকিত্‍সা চলছে কোভিডের! সাধারণ হাসপাতালই অতীব বিপজ্জনক যার পক্ষে, সে কীভাবে ডাক্তারবাবুদের সামনে গিয়ে নিজের শারীরিক প্রতিবন্ধকতার প্রমাণ দেবে কোভিড হাসপাতালে গিয়ে? তাহলে উপায়?

অবশেষে ঘোষ দম্পতি মেয়ের ডাক্তারি পরীক্ষার কথা ভাবে হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কলিংয়ের (Video Calling) মাধ্যমে। সেই মতো চিঠিও লেখেন রাজ্যের মুখ্যসচিবকে।এদিকে বাঙুরের সুপার ডা. শিশির মণ্ডল বিষয়টি নজরে আনেন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার তথা উপাধ্যক্ষ ডা. সন্দীপ ঘোষের। কেননা কোনও নিউরো বিশেষজ্ঞ বাঙুরে নেই দেবস্মিতার মেডিক্যাল টেস্ট নেওয়ার মতো। ডাক্তারবাবুদের সঙ্গে কথা বলে সন্দীপবাবুও স্বাস্থ্যভবনের কাছে মেডিক্যাল টেস্টের অনুমতিও চান ভিডিও কলিংয়ের মাধ্যমে।

মৌমিতার কথায়, ‘অতি বিরল রোগে আক্রান্ত তাদের একমাত্র মেয়ে।এমনকি প্রায় ১০০ শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধিকতাযুক্ত। ঠিকমতো নিজে বসতেও পারে না। খুব সমস্যা হত ডিস্যাবিলিটি সার্টিফিকেটটা না হলে।’ এদিকে সন্দীপবাবুও খুশি অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পেরেও। তিনি এও জানালেন, মাসে ৫০-৬০টি সার্টিফিকেট ইস্যু করা হত মার্চের আগে। কিন্তু সংখ্যাটা কমে তিরিশে দাঁড়ায় কোভিড পর্বে। আগে সময় লাগত মাস তিনেক, হয়রানি হত। এখন মেডিক্যাল টেস্ট করিয়ে সার্টিফিকেট দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে এক মাসেই। ফলে জনসাধারণের অনেক সুবিধা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *