এখন অতীত হ্যাকিং এর মতো ঘটনা ! ফের বাংলার ছেলের ঝুলিতে বিরাট সম্মান সাইবার সিকিউরিটিতে অনন্য নজির গড়ে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : ফের নজরকাড়া সাফল্যবাংলার ছেলের । মাত্র এক ঘণ্টায় ১৬ টি সফটওয়্যার বানিয়ে রেকর্ড গড়লেন ঋত্বিক রায়। আর এই সাফল্যের জেরে ঋত্বিক তার নাম নথিভুক্ত করেছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে। হবু বিজ্ঞানীর সাফল্যে রীতিমত গর্ব হবে।

আজকাল কম-বেশি অনেকেই সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে চিন্তিত। অনেকেই ফেসবুক থেকে ইন্সটাগ্রাম হ্যাকিংয়ের স্বীকার। মূলত সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিত করাই ঋত্বিকের এক ও একমাত্র লক্ষ্য। ঋত্বিক বিগত ৫ বছর ধরে সাইবার সিকিউরিটি, এথিক্যাল হ্যাকিং নিয়ে কাজ করে চলেছেন।

সাধারণ মানুষকে ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস’ প্রদানে বিশেষ ভূমিকা পালন করার পাশাপাশি, সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে একটি বইও লিখে ফেলেছেন বছর ২২-এর এই যুবক। নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে লেখা ” নিশ্চিত সাইবার সুরক্ষা ” বইটিতে স্ক্যাম এবং বিভিন্ন হ্যাকিং থেকে থেকে সাধারণ মানুষকে সুরক্ষিত থাকতে নানাবিধ বিষয়, পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরা হয়েছে। ঋত্বিকের এই প্রচেষ্টা মানুষকে সুরক্ষিত ইন্টারনেট ব্যবহার করতে সাহায্য করেছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন নিউজ চ্যানেল থেকে শুরু করে সংবাদপত্রে সাইবার সিকিউরিটির নানান দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি।

দীর্ঘদিন ধরেই সফটওয়্যার তৈরির দিকে ঝোঁক ঋত্বিকের। সবচেয়ে কম সময়ে সর্বাধিক সংখ্যক সফটওয়্যার বানিয়ে রেকর্ড গড়ে উচ্ছ্বসিত তিনি। মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে ১৬ টি সফটওয়্যার বানিয়ে রেকর্ড তৈরি করেন ঋত্বিক। একটি ক্যালকুলেটর, একটি চ্যাটিং এপ্লিকেশন, তিনটি গেম, তিনটি ভাইরাস এবং আটটি হ্যাকিং সফটওয়্যার তৈরি করায় ঋত্বিকের নাম ইতিমধ্যেই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে স্থান পেয়েছে।

নিজের সাফল্য প্রসঙ্গে ঋত্বিক বলেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরেই সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করছি। মানুষকে নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারের নানান টিপস ইতিমধ্যেই আমি একাধিক নিউজ চ্যানেল ও সংবাদপত্রের মাধ্যমে তুলে ধরেছি। বেশ কয়েকটি অ্যান্টি হ্যাকিং সফটওয়্যারও তৈরি করেছি আমি। মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে আমি ১৬ টি সফটওয়্যার বানিয়ে আমি নিজের নাম ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নথিভুক্ত করি। আমার একটি নিজস্ব কোম্পানিও রয়েছে। যার মাধ্যমে সফটওয়্যার সংক্রান্ত বিভিন্ন রকম সার্ভিস আমি প্রোভাইড করে থাকি”।

ছেলের এই সাফল্যে খুশি বাবা নাম তপন কুমার রায়। তিনি বলেন, “ছোট থেকেই ওর মধ্যে কিছু করার খিদে ছিল। অনেক বার ব্যর্থ হয়েও ও হাল ছাড়েনি। ওর এই সাফল্যে আমি ও আমার পরিবার খুবই খুশি। মা অপর্ণা রায জানিয়েছেন, “আজকাল কমবেশি অনেককেই সাইবার সিকিউরিটি সংক্রান্ত সমস্যার কারণে নানান ভাবে হয়রানি হতে হয়। ছেলের এই সফটওয়্যার এবং ওর বইতে ও সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে বিশদে আলোচনা করেছে। যা সাধারণের বিশেষ কাজে আসবে। আমি চাই ও ভবিষ্যতে আরও সাফল্য লাভ করুক”।

ঋত্বিক সকলের উদ্দেশ্যে এক বিশেষ বার্তায় জানিয়েছেন, “আমি মনে করি আমাদের জীবন একটি, তাই এই ছোট জীবনে আমাদের সমস্ত রকমে ভাল কাজ গুলি করা উচিত। যাতে তা আর পাঁচজনের কাজে লাগতে পারে”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *