ঘরে ঢুকেই স্ত্রীকে দেখেছিলেন সহকর্মীর সঙ্গে ! সেই ESI কর্মীরই ক্ষতবিক্ষত দেহ মিলল দক্ষিণেশ্বরের গঙ্গায়

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : ঘরে ঢুকেই সহকর্মীর সঙ্গে স্ত্রীকে দেখেছিলেন স্বামী। রাগের বশে ঘরে ভাঙচুর চলে। স্ত্রীকে মারেন, পাল্টা মারেন স্ত্রীও, অভিযোগ। কোয়ার্টারের প্রতিবেশীরাই সাক্ষী ছিলেন গোটা দৃশ্যের। সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনে সে কথা বলেন। সেই ইএসআই কর্মীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হল দক্ষিণেশ্বরে বালি গঙ্গার ঘাট থেকে। তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবার, প্রতিবেশীদের। ঘটনার পর থেকে পলাতক স্ত্রী। অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখান প্রতিবেশীরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কামারহাটি থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম বিপ্লব বোস। স্ত্রী বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই খুন বলে অভিযোগ পরিবারের।

প্রতিবেশীরা এও জানান, স্ত্রী চৈতালী বোসের সঙ্গে ২০১১ সালে বিয়ে হয়েছিল কামারহাটি ইএসআই হাসপাতালের কর্মী বিপ্লব বোসের। কামারহাটি ইএসআই হাসপাতালের আবাসনে থাকতেন এই দম্পতি। অভিযোগ, হাসপাতালের আবাসনেরই এক ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন চৈতালি। কয়েক মাস আগে বিপ্লবও বিষয়টি জানতে পেরে গিয়েছিলেন। তারপর থেকেই সংসারে অশান্তির সূত্রপাত। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, গত বৃহস্পতিবার অশান্তি হয় স্ত্রীর সঙ্গে। তারপর বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন বিপ্লব বোস। পরিবারের লোকজন বিপ্লবের খোঁজ করেন। না পেয়ে কামারহাটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

সোমবার দক্ষিণেশ্বর বালিতে গঙ্গার ঘাটে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় বিপ্লব বোসের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বিপ্লবের গায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিপ্লব বোসের পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, তাঁকেখুন হতে হয়েছে স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক হাতে নাতে ধরে ফেলায় । বিপ্লব বোসের পরিবারের লোকজন কামারহাটি থানায় অভিযোগ দায়ের করে স্ত্রী চৈতালী বোসের নামে।

অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে কামারহাটি ই এস আই হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখান বিপ্লবের পরিজনরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় ইএসআই হাসপাতাল চত্বরে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় কামারহাটি থানার বিশাল বাহিনীও ।

এক প্রতিবেশী এও বলেন, “আমি চিৎকার শুনে ঘরে ঢুকেছিলাম। দেখলাম বিপ্লব দা ঘরের সমস্ত জিনিস রেগে ভাঙচুর করেছে। অমলেন্দু দা(অভিযুক্ত সহকর্মী) ঘরে ছিল। ওঁ বললেন, দেখ বিপ্লব আমাকে ঘরে দেখেই রেগে গিয়েছে। আসলে তো অন্য ব্যাপার ছিল।” বিপ্লবের জ্যেঠিমা তখন বলেন, “ওই ছেলেটার জন্যই মরতে হয়েছেবিপ্লবকে। আমাদের ছেলেটা অনেক কিছু সহ্য করেছে। কাউকে কিছু বলতে পারেনি। সবটা হয়েছেওর স্ত্রীর জন্যই।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *