চোর তার সঙ্গীকে মদ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে সব জিনিস নিয়ে পালাল চুরি করতে এসে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : বাড়ি ছেড়ে সপরিবারে এক আত্মীয়ের বিয়েতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন প্রাক্তন সেনা কর্মী সর্বানন্দ। মঙ্গলবার ফিরে এসে দরজার তালা খুলেই হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। বাড়ির পুরো লন্ডভন্ড অবস্থা। এদিকে ওদিকে খালি মদের বোতল ছড়িয়ে পড়ে আছে। সবথেকে বড় কথা, তাঁদের বেডরুমে ঘুমিয়ে আছেন সম্পূর্ণ অচেনা এক যুবক! এরপর, সর্বানন্দের পরিবার দেখে যে ৮ লক্ষ টাকারও বেশি মূল্যের বিভিন্ন জিনিসপত্র বাড়ি থেকে হাওয়া। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, সর্বানন্দের বাড়িতে ডাকাত পড়েছিল। বেডরুমে ঘুমিয়ে থাকা যুবক সেই ডাকাত দলেরই সদস্য। ডাকাতি করতে এসে, সর্বানন্দের বাড়ি থেকে দামি মদ পান করে সে ঘুমিয়ে পড়েছিল। আর তাকে ফেলেই পালিয়েছে দলের বাকিরা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের লখনউয়ের ক্যান্টনমেন্ট এলাকায়।

সর্বানন্দ এও বলেন, “বিয়েবাড়ি থেকে ফিরে তালা খুলতে গিয়ে দেখি গেটের উপরের অংশটা ভাঙা। তারপর ঘরে ঢুকে দেখি, ভিতরে সবকিছু ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে। বেডরুমে পৌঁছতেই দেখলাম, এক যুবক আরামে ঘুমাচ্ছে আর তার চারপাশে খালি মদের বোতল পড়ে আছে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁদের বাড়ি থেকে ১০০ গ্রামের বেশি সোনা, ১.৫ লক্ষ টাকা মূল্যের ২ কেজি রুপোর জিনিসপত্র, ৫০,০০০ টাকা মূল্যের ৪০টি শাড়ি এবং নগদ ৬ লক্ষ টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে। ডাকাতির বিষয়টি বুঝতে পারার পরও অবশ্য সর্বানন্দের পরিবার ওই যুবকের ঘুম ভাঙায়নি। সর্বানন্দ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা তার জেগে ওঠার জন্য অপেক্ষা করে। সে জেগে ওঠার পর অবশ্য তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

পুলিশি জেরায় ওই অপরিচিত যুবক জানায়, সে লখনউয়ের শারদা নগরের বাসিন্দা। তার নাম সেলিম। সে আরও জানিয়েছে, আরও এক যুবকের সঙ্গে সে চুরি করে। সর্বানন্দের আত্মীয়ের বিয়ের কথা জেনে, তারা তাঁর বাড়িকে চুরির জন্য নিশানা করেছিল। তক্কে তক্কে ছিল। সর্বানন্দরা বাড়ি ছাড়তেই, তার বাড়ির তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করেছিল সেলিম ও তার সঙ্গী। দুজনে ঘরে ঢুকে মূল্যবান জিনিসপত্রের সন্ধান করে। সেলিমের অভিযোগ, এরপর তার সঙ্গী সর্বানন্দের ঘরে থাকা মদের বোতল থেকে তাকে মদ পান করায়। মদের নেশায় সেলিমের ঘুম পেয়ে গিয়েছিল। তাই সে বেডরুমে গিয়ে শুয়ে পড়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *