শ্রীবিষ্ণু নাকি ধ্যান করেন এই মন্দিরে স্বয়ং! জানুন বদ্রীনাথ ধামের মাহাত্ম্য সম্পর্কে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : পাহাড়ের ঢালে অলৌকিক কাণ্ড ঘটেছিল এখানেই।দুঃখ-কষ্ট চলে যায় মন্দির দর্শনে।পুজো দিলে কাটবে সব বিপদ!বদ্রীনাথ মন্দিরেরএই অজানা রহস্যগুলো জানার সুযোগ হাতছাড়া করবেন না।

বদ্রীনাথ মন্দির। ভালো করে দেখলে বুঝবেন, এর সঙ্গে সাথে মিল রয়েছে বৌদ্ধ স্থাপত্যের । দেশের প্রাচীন মন্দিরগুলির মধ্যে একটি হল বদ্রীনাথ মন্দির। কেদারনাথ মন্দিরের মতো এই মন্দিরটিও উত্তরাখণ্ডে শুধু হিন্দুদের নয়, বদ্রীনাথ মন্দির বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বীদের জন্যেও একটি পবিত্র ধর্মস্থান। বলা হয়, হিমালয়ের গাড়ওয়াল অঞ্চলে এই মন্দির চার ধাম যাত্রার অন্যতম ধাম এটি। বদ্রীনাথ মন্দিরের স্থাপত্যের সাথে মিল রয়েছে বৌদ্ধ স্থাপত্যের। বলা হয়, প্রথমে এটি একটি বৌদ্ধ মন্দির ছিল। নবম শতাব্দীর সময় আদি শঙ্করাচার্য মন্দিরটিকে হিন্দু মন্দিরে পরিবর্তন করেন।

মহাভারতে উল্লেখ রয়েছে বদ্রীনাথ মন্দিরের কথা।পদ্মপুরাণেও বদ্রীনাথের আশপাশের অঞ্চল পবিত্র ক্ষেত্র বলা হয়। শোনা যায় স্বয়ং ঈশ্বর নাকি বদ্রীনাথের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।বৌদ্ধযুগে নাকি অলকানন্দার জলে নাকি সেই মূর্তি ফেলে দেন বৌদ্ধরা।পরে আদি শংকরাচার্য তা উদ্ধার করে একটি গুহার মধ্যে স্থাপন করেন।

পাহাড়ের চড়াই উতরাই পেরিয়ে এই মন্দির দর্শনে যান পুণার্থীরা।বদ্রীনাথের মন্দির বহুবার ক্ষতি হয়েছে। ১৮০৩ সালে হিমালয়ের ভূমিকম্পের কথা মনে আছে? সেসময় মন্দিরটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল।শোনা যায়,তারপর তত্কালীন জয়পুরের রাজা মন্দিরটি নির্মাণ করে দেন।তবে উত্তর ভারতের অনান্য ধামের বাকি মন্দিরগুলি দ্বারকা পুরী ও রামেশ্বরমের থেকে বদ্রীনাথের পার্থক্য হল যে একমাত্র এই মন্দিরটিই প্রচণ্ড শীতের কারণে বছরে ছয় মাস বন্ধ থাকে।শীতকালে বরফ পড়ে বদ্রীনাথে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। কেদারনাথের মতনই বদ্রিনাথ দর্শনে প্রতিবছর যান হাজার হাজার দর্শনার্থী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *