দেদার মদ্যপান, ধূমপান ট্রমা কেয়ার সেন্টারের মধ্যেই ! আপনিও অবাক হয়ে যাবেন ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কীর্তি শুনলে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : দেদার মদ্যপান-ধূমপান ট্রমা কেয়ার সেন্টারের বারান্দায় দাঁড়িয়ে! তা-ও আবার শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সরকারি হাসপাতাল আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের মতো জায়গায় ৷ গোটা চিকিৎসা মহলে ইতিমধ্যেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে গভীর রাতের ওই ঘটনায়৷ ট্রমা কেয়ার সেন্টারে চিকিৎসা করাতে আসা রোগী এবং রোগীর আত্মীয়েরা তো রীতিমতো হতভম্ব হয়ে গিয়েছেন এই দৃশ্য দেখে ! এমনকি তাঁরা এও প্রশ্ন তোলেন , কী ভাবে স্বয়ং ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা একটা সরকারি হাসপাতালের মধ্যে এভাবে প্রকাশ্যে মদ্যপান করতে পারেন।

এদিকে হাসপাতাল সূত্রের খবর, ভিডিওয়োয় দেখতে পাওয়া গিয়েছে দুই ব্যক্তিকে৷ তাঁরা প্রত্যেকেই ইন্টার্ন চিকিৎসক। শনিবার রাত সাড়ে বারোটা থেকে ১ টা পর্যন্ত টানা আধ ঘণ্টা ধরে ওই ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা ট্রমা কেয়ার সেন্টারের বারান্দায় দাঁড়িয়ে মদ্যপান সহযোগে ধূমপান করেন ৷ রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের তেমনটাই দাবি! এছাড়া, ট্রমা কেয়ার সেন্টারে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরাও কেন ঘটনার কোনও প্রতিরোধ করলেন না, প্রশ্ন উঠেছে এমনকি তা নিয়েও।

এদিকে হাসপাতালের তরফে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান শান্তনু সেন এও জানিয়েছেন, একটি বৈঠক রয়েছে আগামী ২৬ এপ্রিল। সেই বৈঠকে বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে। যাঁরা এই নিন্দনীয় ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাঁরা উপযুক্ত শাস্তিও পাবেন বলে জানান তৃণমূল সংসদ তথা রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান শান্তনু সেন।

সম্প্রতি রাজ্য সরকারের দমকল বিভাগ হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনা রুখতে সর্বক্ষণ হাসপাতালের ক্যাম্পাসে দমকলের গাড়ি রাখার ব্যবস্থা করেছে । কিন্তু রোগী নিরাপত্তা কিংবা স্বাভাবিক দায়িত্ববোধ সম্পর্কে আর কী-ই বা বলার থাকে এই ভাবে হাসপাতালের এমন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যদি ইন্টার্ন চিকিৎসকেরাই ধূমপান করেন তা হলে ৷ এভাবে ট্রমা কেয়ার সেন্টারের বাইরে ধূমপান করলে, তা থেকে যদি অগ্নি সংযোগের মতো দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে তার দায়িত্ব কার উপরে বর্তাবে প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও !

কারণ, এই ট্রমা কেয়ার সেন্টারে একাধিক অক্সিজেন সরবরাহ পাইপলাইন থেকে শুরু করে থাকে নানা ধরনের ইলেকট্রিক লাইন। অসাবধানতা বসত আগুন লাগলে প্রাণ হারাতে পারেন বহু নিরপরাধ, অসহায় রোগী। তাই এ বিষয়ে চিকিৎসক মহল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আরও সতর্ক হওয়া উচিত বলেই মনে করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *