ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মুগ্ধ হলেন বাংলার মিষ্টি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের পাশাপাশি হলুদ ট্যাক্সিতেও

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : কলকাতার আইকনিক এম্বাসেডর হলুদ ট্যাক্সির সামনে দাঁড়িয়ে ভারতে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত। বিরল এই দৃশ্যের ছবি নিজেই পোস্ট করে কলকাতার প্রাচীন ঐতিহ্যের কথা মনে করিয়ে দিলেন ভারতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ।নিজেকে নিয়ে মজা করতেও বিন্দুমাত্র পিছ পা হলেন না।তারপরেই একেবারে বাংলায় কলকাতা থেকে বাংলার মানুষকে অভিনন্দন জানিয়ে লিখলেন, নমস্কার কলকাতা।নমস্কার কলকাতা

কলকাতা ঘুরে আপ্লুত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেতিকে বলেছেন, ‘সংস্কৃতি আর সম্প্রীতির শহর কলকাতা।’শহরের নানা দর্শনীয় স্থান তো দেখেইছেন, ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোও ঘুরে ঘুরে দেখেছেন তিনি ।আর তারপরেই তিনি বলেছেন, এত রকমের সংস্কৃতি, ধর্মীয় মেলবন্ধন দেখে তিনি সত্যিই আপ্লুত। নিজের অভিজ্ঞতা জানাতে টুইট করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ‘শহরের ইতিহাসের গভীরতা দেখলাম, ধর্মীয় স্থানগুলোর সম্প্রীতি দেখলাম, কলকাতা সত্যিই বিবিধের মাঝে মহামিলনের ক্ষেত্র।’

দিন দুয়েক আগে হঠাৎ দিল্লির বঙ্গভবনে হাজির মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি। এ দিন সকালেই তিনি দিল্লিতে পশ্চিমবঙ্গের অতিথিশালায় আসেন। তাঁর আসার কথা শুনতে পেয়েই সাজো সাজো রব ওঠে বঙ্গভবনে। তড়িঘড়ি সাজিয়ে তোলা হয় রাজ্য সরকারের অতিথিশালা। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের জন্য ব্যবস্থা করা হয় বাঙালি খাবার-দাবারের। আম পান্না থেকে ফিস ফ্রাই, শুক্তো থেকে লুচি-কষা মাংস, এমনকী শেষপাতে আমের চাটনি, রসগোল্লা, সন্দেশও খান তিনি। মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি বঙ্গ ভবনে আসেন, তাঁর সঙ্গে ছিলেন মিডিয়া অ্যাডভাইসর রাজা ভট্টাচার্য।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত বাংলার পদ চেখে দেখতে চেয়েছিলেন বলে একাধিক বাঙালি পদও রাঁধা হয়। বাংলার স্পেশাল ভোজনে তৃপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত বাংলার ফুটবল, সংস্কৃতি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বাঙালি খাবারের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “বাঙালি খাবার, সংস্কৃতি, ফুটবল আমাকে আকৃষ্ট করে। মাছের বিভিন্ন পদের মধ্যে পাতুরি খুব ভালো লেগেছে। কলা ভাজাও খুব পছন্দের। এত সুন্দর ভাবে খাবার তৈরি করা হয়েছে, তা সত্যি অসাধারণ। রবীন্দ্র সঙ্গীতও খুব ভাল লাগে আমার।”ভারতে নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত লস এঞ্জেলসের প্রাক্তন মেয়র এরিক গারসেটি। মার্কিন রাষ্ট্রপতির বিশেষ উতসাহে তাঁর নামে সিলমোহর দিয়েছে মার্কিন সেনেট। প্রায় দু’বছর ভারতে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের পদটি খালি ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *