অবশেষে পুলিস চার্জশিট দিল লি রোডের স্বর্ণব্যবসায়ী খুনের ঘটনায়

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : অবশেষে ভবানীপুর থানার পুলিস চার্জশিট দিল ভবানীপুরের লি রোডের স্বর্ণব্যবসায়ী শান্তিলাল বৈদের খুনের ঘটনায়। পুলিস ২৪০ পাতার চার্জশিট আদালতে জমা করল অভিযুক্ত বিমল শর্মার বিরুদ্ধে।উল্লেখ্য, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি স্বর্ণব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধার হয় শম্ভুনাথ পণ্ডিত স্ট্রিটের একটি গেস্ট হাউস থেকে৷ সেদিন সন্ধ্যায় তিনি ওই গেস্ট হাউসে গিয়েছিলেন এক যুবকের ফোন পেয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে৷

একাধিক ঘটনা ঘটে যায় এর কয়েকঘণ্টার মধ্যে ৷ এদিকে স্বর্ণব্যবসায়ীর পরিবারকে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করে আততায়ী৷ পরিবার রাজিও হয়ে যায় দাবি মতো টাকা দিতে৷ এরপর আততায়ীর কথামতো ২৫ লক্ষ টাকার ব্যাগ নিয়ে ভিক্টোরিয়া যায় শান্তিলালের পরিবারের এক সদস্য ৷ অভিযুক্ত সেখানে পৌঁছয় একটি হলুদ ট্যাক্সিতে চেপে৷ এরপর টাকার ব্যাগ নিয়ে হাওড়া স্টেশন যায় ওই ট্যাক্সিতেই৷ যাওয়ার আগে একটি ফোন দেয় শান্তিলালের পরিবারের সদস্যকে। জানায়, এটি স্বর্ণব্যবসায়ীর ফোন৷ এর কয়েকঘণ্টা বাদেই শান্তিলালের দেহ উদ্ধার হয় গেস্ট হাউস থেকে।

পুলিসের অনুমান, আততায়ী শান্তিলালকে খুন করেই তাঁর পরিবারকে ফোন করেছিল ৷ জানিয়েছিল, শান্তিলালকে ছেড়ে দেওয়া হবে ভিক্টোরিয়ার দক্ষিণ গেটের কাছে এসে ২৫ লক্ষ টাকা দিলে৷ টাকা না দিলে শান্তিলালের কিছু ব্যক্তিগত মুহূর্তের ভিডিয়ো ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকিও দেয়৷ ইতিমধ্যে পুলিস তদন্তে নেমে জেরা করেছে ওই ট্যাক্সিচালককে৷ সেখান থেকে বেশ কিছু তথ্য উঠে এলেও খুনী অধরা৷ সূত্রের খবর, অভিযুক্ত প্রথমে দিল্লি পালায়৷ তারপর সেখান থেকে ভুবনেশ্বর পালাতে পারে৷ সম্ভবত সে আছে ভুবনেশ্বরেই।

পুলিসকে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয় খুনীকে ধরতে। সাধারণত মোবাইল ফোনের সূত্র ধরেই পুলিস অপরাধীর নাগাল পায়। কিন্তু মোবাইল থেকে কোনও ফোন করেনি শান্তিলালের খুনী। হোয়াটসঅ্যাপও বন্ধ রাখে। খুনীকে চিহ্নিত করা হয় শম্ভুনাথ পণ্ডিত স্ট্রিটের ওই গেস্ট হাউসের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে। তার নাম বিমল শর্মা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *