কিভাবে আকাশ ছোঁয়া হল “CPIM নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র, কান্তি গাঙ্গুলি, কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর সম্পত্তির পরিমান ?” কলকাতা হাইকোর্টের তদন্তের নির্দেশ ED -কে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : কিভাবে আকাশ ছোঁয়া হল “CPIM নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র, কান্তি গাঙ্গুলি, কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর সম্পত্তির পরিমান ?” অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের তদন্তের নির্দেশ দিলো ED -কে ।

এদিকে সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে ব্রাত্য বসু হাইকোর্টে নির্দেশের কপি উদ্ধৃত করে জানিয়েছেন, তৃণমূল নেতা ছাড়া আর কাদের নাম রয়েছে সেখানে। ব্রাত্য জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী, সিপিএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র, বাম সরকারে মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য, কান্তি গাঙ্গুলির নাম রয়েছে আদালতের কপিতে। এ ছাড়াও তিনি জানিয়েছেন আদালতের কপিতে নাম রয়েছে আবু হেনা, ফণীভূষণ মাহাত, ধীরেন বাগদি, রূপরানি মণ্ডল, মোহিত সেনগুপ্ত, নেপাল মাহাতের। সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়েছে এদের প্রত্যেকেরই ।

এই নাম উল্লেখের পর ব্রাত্য এও বলেছেন, “তৃণমূলের নেতারা ছাড়াও সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় নামও রয়েছে বাম, কংগ্রেস নেতাদেরও । কিন্তু আমরা কোনও মন্তব্য করছি না তাদের নাম নিয়ে , কারণ এটা আদালতের পর্যবেক্ষণ। ২ দিন ধরে টানা খারাপ কথা বলে গেলেন সিপিএম এবং কংগ্রেস নেতারা। এবং সমাজে তুলে ধরতে চাইলেন, তৃণমূলের লোক মানেই দুর্নীতিগ্রস্ত। তাই আমরা তালিকা তুলে দেখালাম অন্য দলের নেতাদের নামও রয়েছে আদালতের রায়ে । তাই শুধুমাত্র একটি দলকে ক্যাঙারু কোর্টে তুলে দেওয়া উচিত নয় সচেতন সংবাদমাধ্যমের ।” পাশাপাশি গোটা বিষয়টি গণমাধ্যমের তুলে ধরা উচিত বলে তিনি মনে করেন। তাঁদের সঙ্গে বিরোধে থাকা সকল সংবাদমাধ্যমকেই অনুরোধ করেছেন একপেশে বক্তব্য তুলে ধরা থেকে বিরত থাকতে।

আদালত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে সোমবার পক্ষ হিসাবে যুক্ত করেছে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায়। এর পরই বিষয়টি নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে সংবাদমাধ্যমে। এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকায় রাজ্যের শাসকদল যে মোটেই খুশি নয়, তৃণমূল নেতৃত্ব তা বুঝিয়ে দিলেন বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে।

এদিকে তৃণমূল মনে করে, আয়বৃদ্ধি খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। তা নিয়ে কোনও কথা হওয়া উচিত নয় আয়করে সেই বর্ধিত আয়ের উৎস উল্লেখ থাকলেই। এ ব্যাপারে ব্রাত্য বসু উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর আয়বৃদ্ধির বিষয়টিও। এর পাশাপাশি তিনি প্রতিহিংসার রাজনীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। বিজেপিকে এই কাজে জন্য দায়ী করেছেন। তিনি মনে করেন সমাজেও পড়ছে ভোটে হেরে গিয়ে পিছনের দরজা দিয়ে ঢোকার চেষ্টার কুপ্রভাব। কুৎসার পাল্টা কুৎসা না করে তিনি রাজনৈতিক ভাবে তা মোবালিকা করার কথাও বলেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *